বাজেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কৌতুক: আনু মোহাম্মদ

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টি কৌতুকপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনু মোহাম্মদ।

বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ‘ফাঁপা’ অবস্থায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুজন আয়োজিত ‘বাজেট ২০১৯-২০২০ ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

আনু মোহাম্মদ বলেন, বাজেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলা হয়েছে। এটা কৌতুকপূর্ণ বিষয়। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে দায়মুক্তি আইন করা আছে। ব্যাংক খাত থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে। সে বিষয়ে আলোচনা নেই।

তিনি বলেন, বাজেটের আকার বৃদ্ধি কোনো চমক নয়। এটা মানুষের বয়স বাড়ার মতো, প্রতিবছর বাড়তেই থাকবে।

‘বরং বিভিন্ন খাতে বাজেটে যে বরাদ্দ দেয়া হয়, পরিমাণ ও গুণগত মান ঠিক রেখে তা কতটা বাস্তবায়ন হয়, সে বিষয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।’

আনু মোহাম্মদ বলেন, বর্তমানে খরচ দেখানোকে বাজেট বাস্তবায়ন মনে করা হয়। তাই বছরের শেষ দিকে অর্থছাড়ের হিড়িক পড়ে। বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারের আগ্রহ দেখা যায়, অন্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে অর্থছাড়ের বিষয়ে আগ্রহ দেখা যায় না।

বৈঠকে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বাজেটে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। মানুষের অবস্থা ও অবস্থানের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। দরিদ্র মানুষের জন্য মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। অথচ বাজেটে এর প্রতিফলন নেই। বর্তমানে বাজেট হয়ে গেছে অনেকটা ছকবাঁধা, তাই বাজেটের কাঠামোগত সংস্কার দরকার।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজনের সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সুজনের সহসম্পাদক জাকির হোসেন, বিআইডিএসের গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শৈত্যপ্রবাহ না আসা পর্যন্ত নভেম্বরজুড়েই চলবে ‘এই শীত, এই গরম’ Nov 20, 2025
img
দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় Nov 20, 2025
img
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৪ Nov 20, 2025
img
বাবা আমার সঙ্গেই আছে: নিষাদ হুমায়ূন Nov 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসে ডিনারের পর ট্রাম্পকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন রোনালদো Nov 20, 2025
img
মাধুরীর নতুন লুক, গয়না খুলে কয়েদির পোশাকে মাধুরী! Nov 20, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 20, 2025
img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025
img
দিল্লিতে দোভাল ও খলিলুরের বৈঠক; আলোচনার বিষয় কী? Nov 20, 2025
img
লামায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল চালক Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ Nov 20, 2025
img
তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে : বিজয় বর্মা Nov 20, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৫ম Nov 20, 2025
img
মিলিতাওকে ঘিরে দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Nov 20, 2025
img
মামদানির সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের কাতারে মুশফিক Nov 20, 2025
img
চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট Nov 20, 2025
img
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল Nov 20, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ইসির শক্ত ভূমিকা চায় রাজনৈতিক দলগুলো Nov 20, 2025
img
পাঁচটি জরুরি বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি : তারেক রহমান Nov 20, 2025