কাশ্মীরে পাকিস্তানি বাহিনীর হঠাৎ আক্রমণে ভারতের অন্তত তিনটি ফরাসি নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাল্টা হামলায় এসব বিমান ভারতীয় ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থানে ছিটকে পড়ে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে চীনের সরবরাহকৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র, যা রাফালের মতো আধুনিক ও ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমানকেও নিস্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বিমান বাহিনীকে দুর্বল করতে পাকিস্তান সফলভাবে ব্যবহার করেছে চীনের দেওয়া আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান প্রযুক্তি। বিশেষ করে জেএফ-১৭ থান্ডার এবং জে-১০সি যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত পিএল-১৫ আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এই সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। এসব অস্ত্র ব্যবহারের ফলে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য রাফাল হয়ে পড়েছে এক প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ।
রাফাল, যা এতদিন ভারতের সামরিক শক্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল, বাস্তব যুদ্ধের মুখে পড়ে কার্যত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বর্তমানে ভারতের কাছে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান রয়েছে, যেগুলো কিনতে মোদি সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত আরও রাফাল কেনার জন্য তড়িঘড়ি করে নতুন চুক্তিও করেছে।
তবে সাম্প্রতিক সংঘাতে রাফালের এই পরাজয় শুধু ভারতের জন্য নয়, গোটা পশ্চিমা অস্ত্রশিল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ইতোমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, রাফাল নির্মাতা ফরাসি কোম্পানির শেয়ারে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি চীনের অস্ত্রশিল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন করে আগ্রহ ও আস্থার জন্ম হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা অস্ত্রশিল্প আধিপত্য ধরে রাখলেও বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে চীনা অস্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়ায় অস্ত্রবাজারে একটি নাটকীয় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইরান ও ইয়েমেনেও দেখা গেছে, পশ্চিমা প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ব্যবহারে অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতার জায়গা থেকে অস্ত্র সংগ্রহের দৌড় এখন যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে প্রকৃত যুদ্ধেই প্রমাণ হচ্ছে, শুধু দামের দিক থেকে নয়, কার্যকারিতার দিক থেকেও চীনা অস্ত্র এখন একটি বড় প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হয়ে উঠেছে।
আরএ/টিএ
