বাজেটে সংখ্যালঘুদের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটের বিভিন্ন খাতে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর তুলনায় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে দাবি করে সংখ্যালঘুদের জন্য বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা এ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, গত কয়েক বছরের বাজেট পর্যালোচনায় মাথাপিছু বরাদ্দের চিত্রটি করুণ ও দুর্ভাগ্যজনক। প্রকল্পবাদে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুযায়ী, ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর মাথাপিছু বরাদ্দ যেখানে ১১ থেকে ১২ টাকা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাথাপিছু বরাদ্দ সেখানে মাত্র ৩ টাকা।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটে দেখা যায়, দেশের জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে গত তিন অর্থবছরে ৮৯১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য অনুরূপ মডেল মন্দির, প্যাগোডা বা গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে বাজেটে কোনো বরাদ্দ নেই।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কল্যাণে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ফাউন্ডেশন গঠন করা হোক। পাশাপাশি প্রতিবছরের বাজেটে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে আনুপাতিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হোক। এই বাজেটে বৈষম্য অবসান করতে ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হোক।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পরিষদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে ফাউন্ডেশন করা; চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া; বিগত চার দশকে বৈষম্য নিরসনে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া; সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা; সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য শুমারি করা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে বরাদ্দ দেওয়া।

 

টাইমস/এএইচ/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শৈত্যপ্রবাহ না আসা পর্যন্ত নভেম্বরজুড়েই চলবে ‘এই শীত, এই গরম’ Nov 20, 2025
img
দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় Nov 20, 2025
img
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৪ Nov 20, 2025
img
বাবা আমার সঙ্গেই আছে: নিষাদ হুমায়ূন Nov 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসে ডিনারের পর ট্রাম্পকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন রোনালদো Nov 20, 2025
img
মাধুরীর নতুন লুক, গয়না খুলে কয়েদির পোশাকে মাধুরী! Nov 20, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 20, 2025
img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025
img
দিল্লিতে দোভাল ও খলিলুরের বৈঠক; আলোচনার বিষয় কী? Nov 20, 2025
img
লামায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল চালক Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ Nov 20, 2025
img
তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে : বিজয় বর্মা Nov 20, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৫ম Nov 20, 2025
img
মিলিতাওকে ঘিরে দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Nov 20, 2025
img
মামদানির সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের কাতারে মুশফিক Nov 20, 2025
img
চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট Nov 20, 2025
img
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল Nov 20, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ইসির শক্ত ভূমিকা চায় রাজনৈতিক দলগুলো Nov 20, 2025
img
পাঁচটি জরুরি বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি : তারেক রহমান Nov 20, 2025