ববি ভিসির অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলেন শিক্ষকরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে একাত্মতা জানিয়ে যোগ দিয়েছেন একাংশ শিক্ষক। উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত অব্যাহত আন্দোলনে তারা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই ঘোষণা দেন।

এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীন, ড. হাফিজ আশরাফুল হক, সঞ্জয় সরকার, জ্যোতির্ময় বিশ্বাস, উন্মেষ রায়, খাদিজা বেগম, মোস্তাকিম হোসেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের ২২ জন শিক্ষক অংশ নেন।

অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন বলেন, উপাচার্য মহোদয় দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুখে তিনি জুলাই স্প্রিট ধারণের কথা বললেও তিনি তা ধারণ করেন না। উলটো পতিত আওয়ামী সরকারের সহযোগীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক পদে বসিয়েছেন। তিনি বিধি লঙ্ঘন করে বিতর্কিতভাবে নিয়োগসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে একক সিদ্ধান্তে সবকিছু করেন। ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর আবেদনের ফাইল খুলে দেখার মতো সময়ও তিনি পান না। এজন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আমার মনে হয়েছে যৌক্তিক দাবিতে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করছে, তাই আমিসহ সহকর্মীরা সমর্থন দিয়ে যোগ দিয়েছি।

ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর যতগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার কোনোটাই তিনি পূরণ করতে পারেননি। বরং জুলাই বিপ্লবের পক্ষে যারা ছিল তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা শুরু করেন। আমরা মনে করি, অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করছেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের একদফা যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত হয়ে আমরাও আন্দোলনে শামিল হয়েছি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, উপাচার্য আমাদের স্বার্থে কোনো কাজ করেননি। আওয়ামী লীগের সহযোগীদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। আমরা তাকে অপসারণ না করে ক্লাসে ফিরবো না।
সমাবেশ শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে ববি ক্যাম্পাস ও বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এর আগে, বুধবার দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের বের করে দিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চীনে মিলল ৩ লাখ বছরের পুরোনো কাঠের সরঞ্জাম Jul 04, 2025
img
কালসাপ আওয়ামী লীগ ছোবল দেবেই, বিশ্বাস করবেন না : রিফাত রশিদ Jul 04, 2025
img
স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা Jul 04, 2025
img
ডেটিং অ্যাপ নয়, বাস্তবেই সঙ্গী খুঁজতে চান সারা Jul 04, 2025
img
২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান মেটিকুলাস ডিজাইন হলে সমস্যা কোথায়: মাহফুজ আলম Jul 04, 2025
ভারতে আবারও চালু পাক শিল্পীদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট! Jul 04, 2025
img
এবার ভিয়েনায় থেমে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট Jul 04, 2025
img
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি Jul 04, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা Jul 04, 2025
img
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, বন্ধ খুলনার রেল যোগাযোগ Jul 04, 2025
ভুলে গীবত করলে যা করবেন | ইসলামিক জ্ঞান Jul 04, 2025
বেশির ভাগ সবজির দাম এখন ৬০-৮০ টাকার ওপরে Jul 04, 2025
‘দেশে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, এজন্যই কি গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম? Jul 04, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা Jul 04, 2025
img
আইরা বাবার ভালোবাসা মিস করেনি, আমরা যৌথভাবেই দেখছি : মিথিলা Jul 04, 2025
img
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির Jul 04, 2025
img
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভগ্নিপতি লতিফ ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ Jul 04, 2025
img
আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ : এটিএম আজহার Jul 04, 2025
img
এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা Jul 04, 2025
img
বাংলা থেকে হিন্দি সিরিয়ালে পাড়ি জমালেন মিশমি দাস Jul 04, 2025