মেলার প্রথম দিন ‘কালো’ থেকে সাদা হলো ২৪ কোটি টাকার সোনা

ঢাকায় স্বর্ণ করমেলার প্রথম দিনে ‘কালো’ থেকে সাদা হলো ২৪ কোটি টাকার সোনা, রুপা ও হীরা।

প্রতি ভরিতে এক হাজার টাকা কর করে দিয়ে অন্তত ৩৫ জন ব্যবসায়ী তাদের স্বর্ণ বৈধ করেছেন।

তিন দিনব্যাপী মেলায় সারাদেশে চারশ কোটি টাকার অপ্রদর্শিত সোনা, রুপা ও হীরা ঘোষণার মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আসবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে এই প্রথম স্বর্ণ করমেলা হচ্ছে। নীতিমালা না থাকার কারণে এতদিন ধরে হিসাবের বাইরে থাকা সোনা হিসাবের মধ্যে আনতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এই মেলার আয়োজন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

রোববার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী স্বর্ণ করমেলা। বিভাগীয় শহরগুলোতেও দুই দিনব্যাপী মেলায় এক হাজার টাকা কর দিয়ে প্রতি ভরি সোনা বৈধ করা যাচ্ছে।

মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকারের মালিকানাধীন ভেনাস জুয়েলার্স, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার মালিকানাধীন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদ ঘোষণা দিয়ে ২১ কোটি টাকার সোনা, রুপা ও হীরা বৈধ করেন।

এদিন মোট ২৪ কোটি টাকার সোনা বৈধ করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছেন। কেবল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন প্রায় ১৪শ ব্যবসায়ী।

ঢাকায় মেলার মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকার সোনা বৈধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনবিআরের সর্বেশেষ এসআরও অনুযায়ী, প্রতি ভরি সোনার স্বীকৃতি আদায় বা বৈধতা অর্জনের জন্য ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে এক হাজার টাকা করে। প্রতি ভরি রুপার জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতি ক্যারেট হীরার জন্য ছয় হাজার টাকা কর দিতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা আহ্বান জানালেও তা নাকচ করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। ফলে আগামী ৩০ জুনের পর এই সুযোগ আর থাকছে না।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শৈত্যপ্রবাহ না আসা পর্যন্ত নভেম্বরজুড়েই চলবে ‘এই শীত, এই গরম’ Nov 20, 2025
img
দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় Nov 20, 2025
img
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৪ Nov 20, 2025
img
বাবা আমার সঙ্গেই আছে: নিষাদ হুমায়ূন Nov 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসে ডিনারের পর ট্রাম্পকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন রোনালদো Nov 20, 2025
img
মাধুরীর নতুন লুক, গয়না খুলে কয়েদির পোশাকে মাধুরী! Nov 20, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 20, 2025
img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025
img
দিল্লিতে দোভাল ও খলিলুরের বৈঠক; আলোচনার বিষয় কী? Nov 20, 2025
img
লামায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল চালক Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ Nov 20, 2025
img
তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে : বিজয় বর্মা Nov 20, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৫ম Nov 20, 2025
img
মিলিতাওকে ঘিরে দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Nov 20, 2025
img
মামদানির সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের কাতারে মুশফিক Nov 20, 2025
img
চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট Nov 20, 2025
img
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল Nov 20, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ইসির শক্ত ভূমিকা চায় রাজনৈতিক দলগুলো Nov 20, 2025
img
পাঁচটি জরুরি বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি : তারেক রহমান Nov 20, 2025