কখনো অন্যের গান নিজের কণ্ঠে, আবার কখনো নতুন গান শুনিয়ে মুগ্ধতা আবেশ তৈরি করা টিনা রাসেল এবার হাজির হলেন জুলফিকার রাসেলের সমৃদ্ধ গীতিকবিতায় নচিকেতার অনবদ্য এক সুর নিয়ে। সদ্য উন্মুক্ত হওয়া
‘এই যে আমায় ব্যাকুল করে’ গানচিত্রটির সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি ভিডিও। যাতে মডেল হয়েছেন শিল্পী নিজেই।
অন্তর্জালে আসার পর সংশ্লিষ্টদের থেকে প্রশংসা পাচ্ছেন বলে জানালেন এই তরুণ গায়িকা।
টিনা রাসেল বলেন, ‘কলকাতায় হঠাৎ করে নচিকেতা চক্রবর্তী দাদার বাসায় আমি আর জামাই (জুলফিকার রাসেল) ছোট পরিসরে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে রাসেলকে দাদা নিজেই বললেন, ‘কিছু লেখা দে তোর বউ-এর জন্য একটা সুর করি।’ হয়ে গেল অসাধারণ এই গান! আমার জীবনে এমন সুন্দর একটা গান গাইতে চেয়েছিলাম।
কেমন লাগলো সবার, সেটা জানার অপেক্ষায় আছি এবার।’
কণ্ঠে তোলার আগে গান নির্বাচনে বরাবরই বেশ সচেতন তথা রুচিশীল টিনা রাসেল। কারণ, পড়াশুনাটাও তার সংগীতের ওপরেই। ফলে অন্যের গান হোক আর নিজের; কথা-সুরে কোনও ছাড় দিতে রাজি নন টিনা রাসেল।
যিনি চটুল গান গেয়ে কখনোই বাজার চলতি হিটের পেছনে ছুটতে রাজি নন। বরং ভালো কিছু কথা-সুর কণ্ঠে তুলে বরাবরই অধীর থাকেন, গঠনমূলক সমালোচনার।
গায়িকার ভাষ্যে, ‘একজন সত্যিকারের গানের মানুষ শিল্পী হবার স্বপ্ন দেখেই গান গাইতে চান এবং আজীবন চেষ্টা করে যান। আমিও এমন দলেরই একজন, স্থির। অস্থির অনেক সময়ে ঝড়-বাতাসে বার বার নিজেকে শক্তি জুগিয়ে নিজের শিল্পী সত্তাকে আঁকড়ে ধরে নিজের যোগ্যতা দিয়েই একটু একটু করে আজ পর্যন্ত আছি।
ট্রেন্ড, সময়, ভাইরাল; এমন অনেক শব্দে প্রতিনিয়ত মাথা অস্থির থাকে। মনে হয়, আসলে কী হতে চাই? কেমন হতে চাই? কী ধরনের গান গাইতে চাই/ গাওয়া উচিত! হাজার প্রশ্নে মাথা কাজ করে না। কারণ দিন শেষে আমার গান অন্য মানুষ ভালোবেসে গুণ গুণ করবে, এটাই তো একজন শিল্পীর চাওয়া। জানি, পথটা খুব সহজ নয়। শেষ কথা, ভালো গানটাই গাইতে চাই। আমরা গান গাই শ্রোতার মন যোগাতে, কিন্তু সেই গান যদি নিজের ভেতর থেকে না আসে, তাহলে অন্যের মন ভরাবে কি করে বলুন তো?’
এফপি/টিএ