যেখানে প্রচলিত ফুটবলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের জন্য অপেক্ষা চলছে, সেখানে বিচ ফুটবলে আবারও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল ব্রাজিল। সিশেলসে অনুষ্ঠিত ২০২৫ ফিফা বিচ সকার বিশ্বকাপে দারুণ এক ফাইনালে বেলারুশকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড সপ্তমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো সাম্বা ব্রিগেড।
ফাইনালের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় ব্রাজিল। ম্যাচের প্রথম পিরিয়ডেই লুকাওয়ের গোলে এগিয়ে যায় ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে বেলারুশও খুব একটা পিছিয়ে ছিল না। নোভিকাউয়ের গোলে সমতায় ফেরে তারা।
দ্বিতীয় পিরিয়ডেই ম্যাচের রং বদলে যায়। রদ্রিগো ও কাতারিনো গোল করে ব্রাজিলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। মনে হচ্ছিল, সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে ব্রাজিল। কিন্তু তৃতীয় তথা শেষ পিরিয়ডে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে বেলারুশ। প্রতিপক্ষের এক ভুলে ব্রিশটসেল একটি গোল করেন, পরে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান—তখন স্কোরলাইন ৩-৩।
যখন সবাই ভাবছিল ম্যাচ গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে, তখন দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে ব্রাজিল অধিনায়ক রদ্রিগোর। মাঝমাঠ থেকে তাঁর নেওয়া দুর্দান্ত শট জাল খুঁজে নেয়। খেলার মাত্র এক মিনিট বাকি থাকতে এ গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের শিরোপা।
শুধু ম্যাচের নায়ক হিসেবেই নয়, রদ্রিগো জিতেছেন আসরের গোল্ডেন বল (সেরা খেলোয়াড়) এবং ব্রোঞ্জ স্কোরার পুরস্কারও। তাঁর নেতৃত্বে ব্রাজিল পুরো টুর্নামেন্টে দেখিয়েছে দারুণ সংযম, গতি এবং অভিজ্ঞতার দুর্দান্ত সমন্বয়।
যেখানে মাঠের ফুটবলে লাতিন আমেরিকার পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশার ছায়া, সেখানে বিচ ফুটবলে ব্রাজিল এক উদ্ভাসিত আলো। ২০০৬ সালের পর এই নিয়ে সপ্তমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো তারা—অপরাজেয় ধারাবাহিকতার প্রতীক হিসেবে।
আজও ফুটবলে ব্রাজিল মানেই বিস্ময়ের নাম—আর বিচ ফুটবলে তারা মানেই নিরঙ্কুশ আধিপত্য।
এসএস/টিএ