অমৃতা সিং আর সাইফ আলি খানের ডিভোর্সের সাক্ষী ছিলেন ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। বোন সারা তখন একটু বড়। বয়স নয়ের আশেপাশে। তারপর থেকে মূলত মা অমৃতাই বড় করেছেন তাদের। তবে বিভিন্ন ছুটির সময় বাবার কাছে আসা, বাবার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, সবটাই ছিল। এমনকি, কারিনার সঙ্গে সাইফ আলি খানের বিয়েতেও এসেছিলেন তারা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া এক পরিবারে বড় হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইব্রাহিম। তার ছোটবেলায় হওয়া বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি চার-পাঁচ বছরের ছিলাম। তাই আমার খুব বেশি কিছু মনে নেই। সারা বড় হওয়ায় তার জন্য হয়ত ব্যাপারটা আলাদা ছিল।’
তার কথায়, ‘কিন্তু আমার মা-বাবা দারুণভাবে চেষ্টা করেছেন যাতে আমি সিকিওর ফিল করি, ভাঙা পরিবারের যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেন আমাকে যেতে না হয়। আমি কখনো ওদের (সাইফ ও অমৃতাকে) ঝগড়া করতে দেখিনি। কিছু জিনিস আসলে এমন থাকে, যা হয়ে ওঠে না।’
কারিনার কথা উল্লেখ করে ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘এখন বেবোর (কারিনা কাপুর) সঙ্গে আমার বাবা অনেক বেশি সুখী এবং আমার দুটি খুব মিষ্টি এবং দুষ্টু ভাই আছে। আর আমার মা সর্বকালের সেরা মা। তিনি আমার খুব যত্ন নেন, এবং আমি তার সঙ্গে থাকি। সবকিছু ঠিক আছে।’
প্রসঙ্গত, সাইফের বয়স যখন মাত্র ২১ বছর, ১৯৯১ সালে বিয়ে হয় তার। অমৃতা তখন ৩৩। বিয়ের ১৩ বছর পর, ২০০৪ সালে দুজনে আলাদা হয়ে যান। এর অনেকগুলো বছর পর, ২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ ও করিনা।
এমআর/টিএ