চট্টগ্রাম বন্দর নেপাল-ভুটান, সেভেন সিস্টার্সের হৃৎপিণ্ড : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। শুধু বাংলাদেশের না, নেপাল-ভুটান, সেভেন সিস্টার্সেরও হৃৎপিণ্ড এ বন্দর।

বুধবার (১৪ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামে এটাই তার প্রথম সফর।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের জন্য না, আশেপাশের দেশের জন্যও। যে কারণে নেপালের কথা বললাম, ভুটানের কথা বললাম, সেভেন সিস্টার্সের কথাও বললাম।

তিনি বলেন, নেপালের হৃৎপিণ্ডই নেই। কাজেই আমাদের হৃৎপিণ্ড দিয়ে তাদের চলতে হয়। আমরা তাদের সংযুক্ত করতে চাই। এটা তাদেরও লাভ আমাদেরও লাভ। এ হৃৎপিণ্ডে যদি সংযুক্ত হয় তারা লাভবান হবে আমরাও হবো। ভুটান যদি সংযুক্ত হয় তারাও লাভবান হবে আমরাও হব। সেভেন সিস্টার যদি যুক্ত হয় তারাও লাভবান হবে আমরাও হবো। এ হৃৎপিণ্ডকে বাদ দিয়ে চললে, যারা এটাকে বাদ দেবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি পাল্টাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই ভরসা। এই বন্দর চালু হলে বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে।

অনুষ্ঠানে একটি মাল্টিমিডিয়া ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার শাখাওয়াত হোসেন। পরে, বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

পরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন।

অন্যদিকে, দুপুরে যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে। এ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে ডি.লিট উপাধি দেওয়া হবে। আর বিকেলে, দীর্ঘ ৮ বছর পর হাটহাজারীর বাথুয়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর প্রথমবার নিজ জেলা চট্টগ্রামে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আরএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রিকশাচালক সংসদে গেলে সংসদ শূন্য হয়ে যাবে না: সারজিস Nov 23, 2025
img
চার বছর আগেও স্কিনকেয়ার জানতেন না কীর্তি Nov 23, 2025
img
বিয়ের তোড়জোড়ের মাঝেই ব্যায়ামে নতুন কায়দা Nov 23, 2025
img
যারা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চায় দেশে তাদের ঠাঁই হবে না: সাদিক কায়েম Nov 23, 2025
img
দর্শকের রুচিতে পাল্টে গেল পর্দার নায়কের ধরন Nov 23, 2025
img
জামায়াতের মোটরসাইকেল শোডাউনে প্রাণ গেল পথচারীর Nov 23, 2025
img
তেলেগু অভিষেকে উপেক্ষিত, ভাগ্যশ্রীকে ঘিরে নতুন আলোচনা Nov 23, 2025
img
ভিসির বাসভবনের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের রাতভর অবস্থান Nov 23, 2025
img
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু Nov 23, 2025
img
হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে ইডেন শিক্ষার্থীরা Nov 23, 2025
img
যার বংশ পরিচয় নেই, বাপ-দাদার নাম নেই, সেও নাকি এমপি হবে : মঞ্জুরুল আহসান Nov 23, 2025
img
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ভবিষ্যৎ ঘিরে বাড়ল জল্পনা Nov 23, 2025
img
ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান Nov 23, 2025
img
পাপনের স্মৃতিতে জুবিনের পেশাদারিত্ব Nov 23, 2025
img
ছোট ছোট আনন্দে বড় উদারতা দেখতেন জুবিন Nov 23, 2025
img
নারীবান্ধব সমাজ গঠনের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার Nov 23, 2025
img
রোববার দেশব্যাপী বিক্ষোভ বাম গণতান্ত্রিক জোটের Nov 23, 2025
img
বড় পর্দা থেকে দূরে গিয়ে মানসিক শান্তিতে সুরজিৎ Nov 23, 2025
img
বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে: নাহিদ Nov 23, 2025
img
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো শেখিয়েছে মা, স্মরণ করালেন জিতু Nov 23, 2025