অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের ওপেনিং পজিশন যেন এক লটারির নাম। যখন যার নাম উঠছে, তিনিই সুযোগ পাচ্ছেন ব্যাগি গ্রিনদের ওপেন করার জন্য। গেল বছরের জানুয়ারি মাসে ডেভিড ওয়ার্নারের আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১টি টেস্ট ম্যাচে উসমান খাজা ছাড়া অস্ট্রেলিয়া চারজন ভিন্ন ওপেনার ব্যবহার করেছে।
তবে এই চারজনের মধ্যে কেউই হয়ত সুযোগ পাচ্ছেন না ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালে। তবে চলতি বছরের ১১ জুন লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া একমাত্র টেস্টে দেখা যেতে পারে একজন নতুন ওপেনারকে। সেটা হলে তিনি হবেন ১২ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ৫ম ওপেনার।
অবশ্য শেষ দুই ওপেনার অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সময়টা একেবারেই মন্দ কাটাননি। ভারতের বিপক্ষে শেষ দুই টেস্টে ছিলেন স্যাম কনস্টাস। জাসপ্রিত বুমরাহ’র বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ছিলেন ট্রাভিস হেড। ২০২৩ সাল থেকেই তাকে নিয়ে পরিকল্পনা ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের। আর সেটা ভুল ছিল না, তার প্রমাণও দিয়েছিলেন হেড।
কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হয়ত দেখা যাবে না এই দুজনের কাউকেই। অন্তত নির্বাচক জর্জ বেইলির মন্তব্যে সেই কথাই ফুটে উঠেছে নতুন করে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দল ঘোষণার পর বেইলি জানান, ওপেনার হিসেবে নির্দিষ্ট কোনও স্পেশালিস্ট থাকা আবশ্যক নয়, ‘আমি মনে করি জশ (জশ ইংলিশ) এটা (ওপেনার) করতে পারবে, যেমনটি আমি মার্নাসের ক্ষেত্রেও বলেছি। এটা এমন একটি জায়গা যেখানে অনেকেই খেলতে পারে। যদিও সাধারণভাবে এটিকে বিশেষায়িত ভূমিকা হিসেবে দেখা হয়।’
জর্জ বেইলির কথা অনুযায়ী, মার্নাস ল্যাবুশেন এবং জশ ইংলিশকেও বিবেচনা করা টেস্টের ওপেনার হিসেবে। এদের মধ্যে ল্যাবুশেনের ফর্ম খুব একটা সুবিধাজনক নয়। চলতি টেস্ট চক্রে তার গড় ছিল মোটে ২৮.৩৩। এমনকি ২০১৬ সালের পর থেকে কেবলমাত্র ১ বার তিনি খেলেছেন ওপেনার হিসেবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ওয়ার্নারের অবসরের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া লাল-বলে বিশেষজ্ঞ ওপেনারদের বাইরে থেকে নতুন কাউকে খুঁজেছে। তবে এর ফলাফল এখন পর্যন্ত মিশ্র। স্টিভেন স্মিথ খেলেছেন। যদিও সেটা কাজে লাগেনি খুব একটা। ন্যাথান ম্যাকসুয়েইনিকে আনা হয়েছিল ভারত সিরিজে। প্রথম তিন টেস্টে জাসপ্রিত বুমরাহর বিপক্ষে ভুগতে হয়েছে তাকেও।
শেষ দুজন হিসেবে অজিদের ওপেনার হয়েছিলেন স্যাম কনস্টাস এবং ট্রাভিস হেড। এই দুজনের মধ্যেই সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে কে যে শেষ পর্যন্ত থাকছেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গিয়েছে।
আরএম/টিএ