এই ক্ষমতা বেশি দিন টিকবে না, মন্তব্য শাজাহান খানের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর শুনানির জন্য আদালতে আনা হয়েছিল সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান। এসময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির সমালোচনা করেন। কথা বলেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়েও।

বুধবার (১৪ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শাজাহান খান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মোজাহিদুল ইসলাম গত ২১ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে শুনানির দিন আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। সে অনুযায়ী শুনানির জন্য তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

এদিন হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়ার পথে শাজাহান খান বলেন, ‘ইউনূস ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র। ৮ মাসে প্রমাণ করে দিয়েছে। আজ পাকিস্তানের রাজাকারদের সাথে আঁতাত করে, অবৈধ প্রেম করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এই ক্ষমতা বেশি দিন টিকবে না।’

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে শাজাহান খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যায় না। আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো আবার জীবন্ত হবে।’

নির্বাচন করবেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘'যখন সুযোগ পাব করব ইনশাআল্লাহ।’

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অবশ্যই প্রস্তুত আমরা। ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব।’

জুলাই আন্দোলনে হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, ‘সেজন্য যদি জনগণের কাছে জবাব দিতে হয় দেব, অনুশোচনা প্রকাশ করতে হয় করব। সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগ অবশ্যই নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের দল। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। আর জনগণ সে সুযোগ দেবে।’

এনসিপির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এনসিপি আঁতুড়ঘরে কালাজ্বরে ধুঁকছে। আর জামাতিদের কোলে বসে এখন জামাতিদের শূরা (শরবত) পান করছে।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাজলা এলাকায় ১৮ জুলাই আওয়ামী, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ থেকে ৪ হাজার নেতাকর্মী এবং পুলিশের ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী থানার সদস্যরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রড ও পিস্তল ছিল। বিকেল ৫টায় তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করতে থাকে।

একপর্যায়ে মো. সাকিব হাসান মারা যান। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় ৪৪১ জনকে আসামি করে মামলা করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ৬৩নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আবু বকর (৫৫)।

আরআর/টিএ

Share this news on: