কাছের মানুষকে হারানোর বেদনা বছরের পর বছর থেকে যায় প্রিয়জনের মনে। সেলিব্রিটিরাও তার ব্যতিক্রম নন। সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) অভিনেত্রী পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে ‘কাল হো না হো’ ছবিটির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় যে মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন, সেই বেদনার কথা শেয়ার করেছেন।
এক্স ( টুইটার)-এ একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে, এক অনুরাগী প্রীতিকে লেখেন, ম্যাম, আমি যখনই ‘কাল হো না হো’ দেখি, বাচ্চাদের মতো কাঁদি। আপনি নয়নার চরিত্রটিকে অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। একটা শিক্ষাও পেয়েছি যে ভালোবাসা মানে কখনও কখনও ছেড়ে দেওয়ায়। শুটিংয়ের ২০ বছর পর যখন আপনি ‘কাল হো না হো’ দেখেন, আপনিও কি আমাদের মতো কাঁদেন?
উত্তরে প্রীতি জানান, প্রথম ভালোবাসার মানুষকে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় হারিয়েছিলেন। যার কথা মনে করে এখনও কাঁদেন তিনি।
এরপরই অভিনেত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি যখন সেই দৃশ্যটি দেখি তখন কাঁদি, আর যখন আমরা দৃশ্যটির শুটিং করছিলাম তখনও কেঁদেছিলাম!’
প্রীতি বলেন, ‘আমার প্রথম ভালোবাসার মানুষ একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন, তাই এই সিনেমাটা আমার কাছে সবসময় অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসে। একটা মজার তথ্য দিই - বেশিরভাগ দৃশ্যে সব অভিনেতা-অভিনেত্রী স্বাভাবিকভাবেই কেঁদেছিলেন... এবং আমনের মৃত্যুর দৃশ্যে ক্যামেরার সামনে ও পিছনে সবাই কাঁদছিল!’
এই ভালোবাসার মানুষটি অন্য কেউ নন। প্রীতির বাবা দুর্গানন্দ জিনতা। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাবার মৃত্যুর সময় প্রীতির বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তার বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একজন অফিসার ছিলেন।
এসএন