তালহার প্রতিটি বিয়ে ও তালাকে হ্যাপির হাত ছিল, জানালেন আইনজীবী

২০১৪ সালের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে আলোচনায় আসেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। পরবর্তীতে অভিনয় ছেড়ে পর্দার আড়ালে চলে যান তিনি। ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন আমাতুল্লাহ। বিয়ে করেন মুফতি মোহাম্মদ তালহা নামক একজন মাদরাসা শিক্ষককে।

এবার স্বামী তালহার বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ আনলেন হ্যাপি। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ করেছেন সাবেক এই মডেল-অভিনেত্রী। এ পর্যন্ত তার স্বামী তালহা ইসলাম ৯টি বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সোমবার স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন হ্যাপি।

তবে হ্যাপির অভিযোগের বিষয়ে এবার তালহার আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ জানালেন ভিন্নকথা। তিনি বলেন, সাধারণত আইনজীবী হয়ে ক্লায়েন্টের বাসায় যাওয়া, ক্লায়েন্ট নিয়ে কন্টিনুয়াসলি ফেসবুকে পোস্ট দেয়া, একজন আইনজীবীর পেশাগত আচরণের মধ্যে পরে না।

তিনি বলেন, তালহার একাধিক বিবাহ সত্য হলেও প্রতিটি বিবাহ এবং তালাকের ক্ষেত্রে হ্যাপির হাত ছিলো সেগুলো বলেনি। ৫/৬ বছরে হ্যাপি ও তার পরিবারের জন্য কতো টাকা তালহা ব্যয় করেছে তাও বলেনি।

বাচ্চা ছেলের নাক দিয়ে রক্ত পরার অসুস্থতাকেও তালহার নির্যাতন হিসেবে উল্লেখ করে আইনজীবী ফয়েজ বলেন, তালহাকে স্ত্রী হিসাবে স্বামীর অধিকার আদায়ে বাধা ও নিজের ফিজিক্যাল সমস্যার কথাও হ্যাপি বলেনি।

স্বামীর টাকা চুরি করা এবং শুধু নামে পর্দা করে কাজে বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তালহাকে বারবার পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার কথাও বলেনি সে। বাচ্চা ছেলের নাকে রক্ত পরার অসুস্থতা কে মারধর হিসাবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

কখনোই তালহা গায়ে হাত দেননি জানিয়ে ফয়েজ বলেন, গত ২ বছরেও কোনওদিন গায়ে হাত না দিলেও একটা মেডিকেল সার্টিফিকেট যোগাড় করেছে মারধরের। গত এক সপ্তাহে স্বামীর থেকে ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে আবার স্বামীর বিরুদ্ধে ই যৌতুক এর মামলা।

হ্যাপিকে বিশ্বাস করে ভুল করেছেন তালহা, এমনটাই জানিয়ে বলেন, আমি আইনজীবী হিসাবে সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেয়ার পরেও প্রেস রিলিজ এবং ফেইসবুকে পোস্ট দিতে থাকা মূলত কি উদ্দেশ্যে হয়েছে তা অনেকেই বুঝতে পারছেন। একজন নারী পোশাক পরিবর্তন করলেই তাকে বিশ্বাস করা যে কতো ভুল তা তালহা বুঝতে পারছেন।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে প্রাণ গেল চবি শিক্ষার্থীর, নিখোঁজ ২ Jul 08, 2025
img
‘রিংকিকে ছাড়ুন, আমি তো আয়ুষ্মান খুরানার ঠোঁটে চুমু খেয়েছি’, সচিব জিতেন্দ্র কুমার Jul 08, 2025
img
‘উদ্ভট’ ফ্যাশন সেন্সের কারণে কটাক্ষের মুখে নেহা কক্কর Jul 08, 2025
ট্রাম্পের চিঠি ড. ইউনূসকে, বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫% শুল্ক Jul 08, 2025
img
নীল সিনেমায় যোগ দিচ্ছেন আসামের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার অর্চিতা ফুকান! Jul 08, 2025
img
ফুটবল আমাকে কল্পনার চেয়েও বেশি কিছু দিয়েছে, বিদায় বেলায় রাকিটিচ Jul 08, 2025
img
জুলাই পদযাত্রায় আজ মেহেরপুরে যাচ্ছেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ Jul 08, 2025
img
আজ থেকে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদন শুরু Jul 08, 2025
img
৪১ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার Jul 08, 2025
img
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত, জানালেন ট্রাম্প Jul 08, 2025
img
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টির বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি Jul 08, 2025
img
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করতে আগ্রহী ঢাকা: প্রেস সচিব Jul 08, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় পার্টি Jul 08, 2025
img
তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এনজিও মালিককে বেঁধে রাখলেন গ্রাহকরা Jul 08, 2025
মহররম মাসের সত্য ঘটনা | ইসলামিক জ্ঞান Jul 08, 2025
img
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মাসুদ কামাল Jul 08, 2025
img
সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে হুমকি, অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের নিন্দা Jul 08, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার প্রিমিয়ার লিগে Jul 08, 2025
img
ঢাকাসহ দেশের ৪ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস Jul 08, 2025
img
জিপিই'র প্রতিবেদন: সহিংসতার ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ২০.১ ট্রিলিয়ন ডলার Jul 08, 2025