রাজধানীতে সকাল থেকে থেমে থেমে নামছে বৃষ্টি, কিন্তু তাতে দমে যাননি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবিতে তারা কাকরাইল মোড়ে গতকাল (বুধবার) থেকে আন্দোলন করে আসছেন।
গতকাল বুধবারও তারা বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন চালিয়ে যান। পরে রাতেও সেখানে অবস্থান করেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
দুপুরের দিকে শুরু হয় বৃষ্টি, কিন্তু ছাতা মাথায় নিয়েই চলতে থাকে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। অনেকে আবার ছাতা ছাড়া বৃষ্টিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, দিচ্ছেন দাবি আদায়ের পক্ষে নানা স্লোগান। এমনকি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী দিদারুল হাসান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হল তৈরি ও আবাসন সংকট সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু বারবার আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আন-অফিশিয়ালভাবে বর্তমানে শাটডাউন রয়েছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়টির সব শিক্ষার্থী তিন দফা দাবি আদায়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তফা হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. মোস্তফা হাসান বলেন, আমাদের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী তিন দফা দাবি আদায়ে কাকরাইলে এসে আন্দোলন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শুধু অফিস খোলা রয়েছে। কোনো ক্লাস হচ্ছে না, কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না। এতেই বোঝা যায় বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে না। আমরা অফিসিয়ালি শাটডাউন ঘোষণা করতে পারি না, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বলা যায় আন-অফিসিয়ালি বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন রয়েছে। কেননা সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা রাস্তায়, এ অবস্থায় ক্লাস-পরীক্ষা কে নেবে?
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকার চাইলেই শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে পারে। সামনে বাজেট ঘোষণা করবে সরকার, সেখানে আমাদের এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
শাটডাউনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, অফিসিয়ালি বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করা হয়নি এবং এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বিশ্ববিদ্যালযয়ে কোনো ধরনের ক্লাস হচ্ছে না বা পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা শাটডাউনের ঘোষণা দিয়ে থাকতে পারেন।
আরআর/এসএন