বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে মেধা, যোগ্যতা ও শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ১৬ জন তরুণ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা।
এ নিয়োগ কার্যক্রমে প্রতিটি ধাপে ছিল কড়া নজরদারি ও কঠোর মানদণ্ড। ১০ এপ্রিল সকাল ৮টায় শুরু হওয়া প্রথম ধাপে প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, সক্ষমতা এবং অন্যান্য পরীক্ষা শেষে ২৩৪ জন (ছেলে ২২৩, মেয়ে ১১) লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় ৩২ জন উত্তীর্ণ হন, যারা পরে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখান থেকে ১৬ জন প্রার্থী নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের সরকারি ফি বাবদ মোট খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। জেলা পুলিশ প্রার্থীদের আগেই স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার সতর্ক করে জানিয়ে দেয়, এই নিয়োগে কোনো ধরনের দালাল বা অবৈধ লেনদেনের সুযোগ নেই।
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জামিনুর রহমান খান, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফয়সাল মাহমুদসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচিত তরুণরা সত্যিকারের যোগ্যতা দেখিয়ে পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে চলেছেন।
নতুন জীবন শুরু করতে যাওয়া তরুণদের চোখে মুখে ছিল উচ্ছ্বাস আর গর্ব। নিজেদের পরিশ্রম ও সততার ফল হাতে পেয়ে তারা আবেগে আপ্লুত হন।
এমআর