জুমার পর গণঅনশনে বসছেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

জুমার নামাজের পর গণঅনশনের ডাক দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আবাসন সমস্যা সমাধান ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প বাস্তবায়নসহ মোট চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই চার দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবারও তারা কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। পাশাপাশি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবারও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামীকাল শুক্রবার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে সমাবেশ করবেন। বাদ জুমা থেকে শুরু হবে গণঅনশন কর্মসূচি।’

তাদের চার দফা হলো—
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে;
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে;
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে;
৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।


এসএস/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
২ ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Dec 24, 2025
img
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড Dec 24, 2025
ফের রাজপথে আজমেরী হক, শিল্পী সমাজের সক্রিয় বার্তা Dec 24, 2025
ভিন্ন ধাঁচে ‘ডিসেম্বর মুড’-এ জয়া আহসান Dec 24, 2025
সহিংসতায় উদ্বিগ্ন দেব, শান্তির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান Dec 24, 2025
খনিজ সম্পদ নয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ড লাগবে: ট্রাম্প Dec 24, 2025
“মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের”—কর্নেল হাসিনুরের কথার সঙ্গে একমত পোষণ মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ ইবরাহিমের Dec 24, 2025
পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনক হারের ব্যাখ্যা চায় বিসিসিআই Dec 24, 2025
ভারত সাহায্য চেয়েছে, বিস্ফোরক দাবি পাকিস্তানের সাবেক তারকার Dec 24, 2025
ঢাকার কোচিং প্যানেলে স্থানীয় কোচদের আধিক্য Dec 24, 2025
img
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ইতিহাস: নাহিদ ইসলাম Dec 24, 2025
img
কাবুলের রাস্তায় একা হাঁটতে পারেন না রশিদ খান Dec 24, 2025
img
ব্যাটিং পেলেন না সাকিব, গালফ জায়ান্টসকে ৮ উইকেটে হারাল এমআই এমিরেটস Dec 24, 2025
img
এ ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ গ্রিনল্যান্ডই নির্ধারণ হবে : গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী Dec 24, 2025
img
মৌলভীবাজারে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা Dec 24, 2025
img
মাদুরো যদি তেড়িবেড়ি করে, এবারই শেষবারের মতো তেড়িবেড়ির সুযোগ পাবে: ডোনাল্ড ট্রাম্প Dec 24, 2025
img
তারেক রহমানের আগমন, শাহজালালে ২৪ ঘণ্টা দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা Dec 24, 2025
img
নির্বাচন-গণভোট নিয়ে ৮ গান, ঢাকা বিভাগেরটা রিলিজ Dec 24, 2025
img
ভেনেজুয়েলা থেকে জব্দ করা তেল যুক্তরাষ্ট্র বিক্রি করতে পারে: ট্রাম্প Dec 24, 2025
img
প্রশাসনের অবস্থা উদ্বেগজনক, কেউ কাউকে মানছে না: ফয়জুল করিম Dec 24, 2025