জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনকে সম্মান জানাতে হবে : জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনকে সম্মান জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনকে সম্মান জানাতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবি অবহেলা করে দীর্ঘসূত্রিতা গ্রহণযোগ্য নয়। আলোচনায় বসে সমাধানে আসুন।

শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিহত করুন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ দাবিতে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো বিশেষ পক্ষের নয়। এটি আন্দোলনকারীদের সমর্থনে গঠিত। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে—বিচার সংস্কার, নির্বাচন এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া। যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গেছেন, উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের সম্মান রক্ষা করতে হবে।

সাকি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। জনগণের ঐক্য অটুট রাখতে হবে। কোনো কিছু প্রলম্বিত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে সাকি বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের স্বার্থে দেশের সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়েছে। ভারতকে আমরা বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছি। তবে বন্ধুত্ব হতে হবে সমতার ভিত্তিতে, অধিকার হরণ করে নয়। বাংলাদেশ কোনো দাস রাষ্ট্র নয়।

১৯৭৫ সালের ২১ মে ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, পাকিস্তান আমলে বাঁধ নির্মাণ শুরু হলেও স্বাধীনতার পরও ভারত একতরফাভাবে সেটি চালু রেখেছে। এরপর থেকে বাংলাদেশের সরকারগুলো দেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে তিনি বলেন, এই বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া জনসম্মতি ছাড়াই চলছে। কোন পদ্ধতিতে এটি হচ্ছে, তা জনগণকে জানানো হচ্ছে না। এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, তরিকুল সুজন প্রমুখ।

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

পুলিশের সুপারশপ ঘুরে দেখলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন আইজিপি Jul 12, 2025
চট্টগ্রামে ১১ খণ্ডে বিভক্ত লাশ! স্ত্রীর মরদেহ কমোডে ফ্লাশ করলো স্বামী! Jul 12, 2025
"বাবু খেয়েছো? জিগ্যেসের জন্যতো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বানাই নাই!" Jul 12, 2025
img
'ভিডিওতে থাকলেও আমি কাউকে মারিনি' মিডফোর্ডের ঘটনার আসামী টিটন Jul 12, 2025
img
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজনকে ওএসডি Jul 12, 2025
img
ঢাকায় পৌঁছালেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট Jul 12, 2025
img
এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য Jul 12, 2025
img
পিআর পদ্ধতি একটি অপরিকল্পিত প্রস্তাবনা মাত্র: ১২ দলীয় জোট প্রধান Jul 12, 2025
img
রিয়ালের আবেদন নাকচ করল লা লিগা সভাপতি Jul 12, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯১ Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনায় আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে Jul 12, 2025
পুলিশ মেসের ওয়াশরুম ঘুরে দেখলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
পুলিশকে খেলাধুলায় জোর দিতে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
img
লোকেরা আমাকে প্রায় মেরে ফেলেছিল : করণ জোহর Jul 12, 2025
ইউনুস সরকারকে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের সংস্কার প্রস্তাব Jul 12, 2025
img
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা জানালেন উপ-প্রেসসচিব Jul 12, 2025
img
কপিল শর্মার ক্যাফেতে হামলাকারীদের দায় স্বীকার Jul 12, 2025
img
মিয়ানমারে মঠে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ২০ Jul 12, 2025
img
প্রশাসনিক ব্যর্থতায় দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত: যুবদল সভাপতি Jul 12, 2025