প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জবির সব সমস্যা সমাধান করা হবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি আমরা একসঙ্গে সব সমস্যা সমাধানে অগ্রসর হবো। আমরা একটি পরিবার। আমরা সমস্যাগুলো দেখেছি।ইনশাআল্লাহ, আমরা সমাধান করতে পারবো।

শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, গত ১৪ তারিখ চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টার পাশে ছিলাম। তার সঙ্গে একটা বিষয়ই- বিশ্ববিদ্যালয়ের পিকিউলিয়ার সিচুয়েশনের সমাধানে ব্যাপারে কথা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, অবশ্যই সমাধান করতে হবে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করার জন্য বলেছেন। আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা সব সমস্যা একসঙ্গে সমাধান করবো। ইউজিসি আপনাদের কমিশন, আপনারা আসবেন, আমরা একসঙ্গে সমাধান করবো।

ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ইউজিসি, প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমরা সকলে মিলেমিশে কাজ করবো। আপনাদের দাবির রেসপনসেবলিটি আমি। আপনারা ধৈর্য করুন।

এর আগে, সন্ধ্যা সাতটায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপদেষ্টা এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা মিটিংয়ের ফলাফল জানাতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস.এম.এ ফায়েজসহ উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম।

প্রেস ব্রিফিং শেষে ইউজিসি চেয়ারম্যান অনশনকারী শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

উপদেষ্টাদের সঙ্গে মিটিংয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানতে চাইলে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, আমরা মিটিংয়ে ছিলাম। সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।

রইছ উদ্দিন আরো বলেন, আমার পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাঁরা আমাদের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন। অনেক বৃদ্ধ বয়সেও আমাদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন।
এ সময় জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি করার মাধ্যমে প্রথম দাবির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আবাসন সংকট নিরসনে অস্থায়ী হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু হবে, ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

এফপি /টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াত আমিরের সঙ্গে শিল্প মালিক প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 16, 2025
img
মিয়ানমারে অবৈধভাবে পণ্য পাচারের সময় ১১ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী Sep 16, 2025
img
চবিতে ‘হোস্টেল সংসদ’ নির্বাচনের ঘোষণা Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 16, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে শ্রীলঙ্কা, খালি হাতে বিদায় নিল হংকং Sep 16, 2025
img
ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় বৃদ্ধি করল এনবিআর Sep 16, 2025
img
ইভ্যালি থেকে বেরিয়ে একই কৌশলে প্রতারণা, নারী গ্রেপ্তার Sep 16, 2025
img
এশিয়া কাপ জিতেনি বাংলাদেশ গুগোল করে নিশ্চিত হলেন ট্রট Sep 16, 2025
img
ড. ইউনূস ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনষ্ট হবে : রাশেদ খান Sep 16, 2025
img
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন Sep 16, 2025
img

মাসুদ সাঈদী

জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন, তাহলে নির্বাচন বর্জনের দরকার হবে না Sep 16, 2025
img
আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ Sep 16, 2025
img
আগস্টে ৪৯ মামলায় জড়িত ৩১১ দুর্নীতিবাজ Sep 15, 2025
img
১৫ কেজির কোরাল মাছ বিক্রি ১৮ হাজারে Sep 15, 2025
img
শ্রীলঙ্কার সামনে হংকংয়ের ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ Sep 15, 2025
img
নিকুঞ্জে নাগরিক জাগরণ: হারানো শান্তি ফিরে পাওয়ার গল্প Sep 15, 2025
img
সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ, আত্মবিশ্বাসী কোচ Sep 15, 2025
img
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের প্রশংসায় জনাথন ট্রট Sep 15, 2025
img
অসুস্থ অমিতাভকে ২০০ জন ৬০ ব্যাগ রক্ত দিয়েছিলেন Sep 15, 2025