রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নে রুপল শেখ (২৭) নামের এক দিনমুজুর যুবককে মোবাইলে গোপন ভিডিও ধারণ ও চুরির অপবাদে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ এজাহার নামীয় ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুর রহমান। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুপল শেখ (২৭) রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের জিন্নাহ শেখের ছেলে। তিনি দিনমজুর হিসেবে কাজ করতো বলে জানা গেছে। তার সাত বছর ও দুই বছর বয়সী দুই মেয়ে রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের রুকমান বিশ্বাসের ছেলে মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি জহিরুদ্দিন বিশ্বাস (৬৫), ৮নং আসামি মৃত ফেলু বিশ্বাসের ছেলে মৈজদ্দি বিশ্বাস (৫৫), ৯নং আসামি ফরহাদ বিশ্বাস (৪৫) ও ১০নং আসামি আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে ও মুন্নু মোল্লা (৫০)।
নিহতের বাবা জিন্নাহ শেখ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় শাম, কচি, মোক্তার, রফিজুলসহ কয়েকজন আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে সালিসের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। আমার ছেলের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ তোলে একটি ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেছে সে। এছাড়াও তারা আমার ছেলেকে চুরির অপবাদও দিয়েছে।এ অভিযোগে তারা আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে শাম বিশ্বাসের বাড়ির একটি ঘরে বন্দি করে তাকে কাঠ দিয়ে মারধর করে হত্যা করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহত রুপল শেখের মামা মো. কালাম মোল্লা (৫৪) বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহার নামীয় চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এসএন