রাজশাহীতে আরও ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করতে চায় বিসিবি

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বিভাগীয় শহরগুলো, বিশেষ করে যেসব এলাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রয়েছে, সেখানে আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের দাবি ছিল। রাজশাহী তেমনই একটি অঞ্চল, যেখানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের সিরিজ। ওই সিরিজে দর্শকদের বিপুল উপস্থিতি প্রমাণ করেছে—রাজশাহীতে ক্রিকেটের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এতে করে নতুন করে সেখানে ম্যাচ আয়োজনের গুরুত্ব উঠে এসেছে।

রাজশাহীতে আরও বেশি মাত্রায় বাংলাদেশের খেলা আয়োজন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানিয়েছেন, ‘এ টিম বা অন্যান্য দলের খেলাও দেওয়া যাবে রাজশাহীতে। এখন রাজশাহী অনেক এগিয়ে রয়েছে, এখানকার ক্রিকেটপ্রেমী অনেক। মাঠ এবং ফ্যাসিলিটিজ উন্নয়ন করলে আরও বড় খেলা দেওয়া সম্ভব।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি তো (রাজশাহীতে) খেলা দিতে চাই, তবে মাঠের কিছু সংস্কার দরকার। কিছু ফ্যাসিলিটিজ দরকার আছে। আমি একটা ডিজাইনও করে দিয়েছিলাম, বাকিটা যদি বোর্ড এবং সভাপতি এগিয়ে নিয়ে যায় তাহলে আরও বেশি ভালো।’

গতকাল রাজশাহীতে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যেখানে রোমাঞ্চকর জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী লড়াই। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২২৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯১ রানের বেশি করতে পারেনি। ফলে ৩৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

দেশের উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলে অনুষ্ঠিত সিরিজে দর্শকদের উপস্থিতি ও ক্রিকেট মাঠের মান নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে রাজশাহীসহ বিভাগীয় অঞ্চলগুলো ক্রিকেটীয় দিক থেকে অবহেলিত বলেও অভিযোগ করছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ ইমার্জিং দলের এই সিরিজের পর সেখানে ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ ‘এ’ দল এবং বিপিএলের মতো প্রতিযোগিতা সম্পন্ন ম্যাচও আয়োজন করার সম্ভাবনার কথা বলছেন।

রাজশাহীতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ ও প্রোটিয়া ইমার্জিং দল চারদিনের দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। যার একটি মিরপুর এবং আরেকটি হবে চট্টগ্রামে।

আরএ/এসএন

Share this news on: