দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওসির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় শাহ আলম নামের এক শ্রমিক নেতাকে আটকের প্রতিবাদে জেলার কয়েকটি সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিকরা। পরে ওই শ্রমিক নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হলে দুই ঘণ্টা পর অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় দিনাজপুর জেলা শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শ্রমিক নেতাকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় শ্রমিকরা জেলার সব রুটে ট্রাক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নেতাকে ছেড়ে দিলে ব্যারিকেড তুলে নেন তারা।
আটককৃত শ্রমিক নেতা শাহ আলম দিনাজপুর শহরের হাউজিং মোড় শাখা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে দিনাজপুর জেলা শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ট্রাকের সংঘর্ষে আহত হন নূর আলম (৪০) নামে এক যুবক।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরই মধ্যে কে বা কারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার ওসি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে আলোচনার এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে ওসির বাগবিতণ্ডা হয়। সেখানে সেনাবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শ্রমিক নেতা শাহ আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনা শ্রমিকদের মাঝে জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা থানা ঘেরাও করে তাদের নেতার মুক্তির দাবি জানান। পরে শ্রমিকরা ট্রাক দিয়ে থানা ঘেরাওসহ সব রুটে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেন। এতে দিনাজপুর-রংপুর, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ, দিনাজপুর-চিরিরবন্দর, দিনাজপুর-দশমাইল, দিনাজপুর-বিরলসহ সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দিনাজপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনারুল হক বলেন, গতকাল বিকেলে আমাদের শ্রমিক শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে কোতয়ালি থানার ওসিকে বহুবার ফোন দিয়েছি, তিনি আমাদের ফোন রিসিভ করেননি। আমরা থানায় দেখা করতে গেলে জেলে পাঠানোর হুমকিও দেন। অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে শ্রমিকরা জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শ্রমিক নেতাকে আটক করা হলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে শাহ আলমকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকরা তাদের ব্যারিকেড তুলে নেন।
এসএন