ওয়ানডে ফরম্যাটের বড় দুই বৈশ্বিক আসর মিস করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছিল না ২০২৩ বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। টেস্ট ক্রিকেটেও নেই উইন্ডিজের আগের সেই গৌরব। তবে টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত দাপুটে এক দলের নাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটা গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিল ছন্দে।
বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা শর্টার এই ফরম্যাটে মানিয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে। কিন্তু সেই শর্টার ফরম্যাটের অলিম্পিকেই অনিশ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের অংশগ্রহণ। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ক্রিকেট সংস্থা হিসেবে তো খেলার সুযোগ থাকছেই না, দেশ হিসেবে কারা খেলবে তা নিয়েও নেই স্পষ্ট বার্তা।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নিয়ম অনুযায়ী, অলিম্পিকে খেলতে পারে শুধু স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এছাড়া অলিম্পিক কমিটির পতাকায় খেলছেন অভিবাসী অ্যাথলেটরা। এর বাইরে কারোর অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। আর এই নিয়মেই আটকেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আছে ১৩টি স্বাধীন দেশ। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যুক্ত ১৫টি দেশ ও ভূখণ্ড।
স্বাভাবিকভাবেই তাই অলিম্পিকের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিবেচিত হচ্ছে না এটা অনেকাংশে নিশ্চিত। তবে একটি নির্দিষ্ট বাছাই প্রক্রিয়া শেষে অন্তত এক দেশ সুযোগ পেতে পারে। আর সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রধান জনি গ্রেভস। স্থানীয় সময় শুক্রবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ‘অন্যায্য’ বাছাই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংস্থাটি দাবি করেছে, ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। সংস্থার প্রধান জনি গ্রেভস বলেন, “বর্তমান বাছাই প্রক্রিয়া অবিচারপূর্ণ এবং এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে সরাসরি কোয়ালিফাই করার ন্যায্য সুযোগ দিচ্ছে না। ছোট দলগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আইসিসি। আমরা এমন আচরণ মেনে নেব না।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড অলিম্পিকে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে দুটি প্রস্তাব সামনে রেখেছে। যেখানে বলা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অভ্যন্তরীণ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে একটি দ্বীপ দেশকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। অথবা আইসিসি নিজেই সার্বভৌম রাষ্ট্রের মাঝে বাছাইপর্ব আয়োজনের দায়িত্ব নেবে।
বর্তমানে টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছেলেদের দল পঞ্চম এবং মেয়েদের দল ষষ্ঠ স্থানে আছে। সেই যুক্তি থেকেই অলিম্পিকে সরাসরি নিজেদের প্রতিনিধিত্বকারী দেশ দেখতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এমন প্রস্তাবের মূল ভিত্তিও সেটিই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইসিসি কী ব্যবস্থা নেবে, তা অনিশ্চিতই আছে এখন পর্যন্ত।
এফপি/এ্সএন