‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনুস ও বিনিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম সফর করেছেন। আমাদের সঙ্গে দুটি বৈঠক হয়েছে। তাদের বলেছি, ইনভেস্টমেন্ট আমরা চাই। প্রযুক্তি ও দক্ষতার দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে সিঙ্গাপুরের মানে নিয়ে যান, সেটাও চাই। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং স্বার্থ বিকিয়ে নয়।’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি মিলনায়তনে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রবীণ এই নেতা বলেন, জাতির উদ্দেশ্যে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট—আমরা মানবতার কল্যাণ চাই, ইনসাফ ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র চাই, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র চাই। সর্বোপরি ১৮ কোটি জনগণের জন্য যে চ্যালেঞ্জ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই।
সেই চ্যালেঞ্জ হলো—বেকারত্ব দূর করা, বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। দুর্নীতিবাজদের রাজনীতিতে ফেরার দুয়ার আমরা বন্ধ করে দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী বিরুদ্ধে গত ১৮ বছর যত নির্যাতন, অত্যাচার হয়েছে তা সাংবাদিকরাও দেখেছেন, তাঁদের লিখনিতে পুরো দেশবাসী দেখেছেন। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তির পর গত ৫ আগস্ট ১৫ কোটি মানুষ রাস্তায় নেমেছে বলে জাতি সংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহন জানান।
সিএমইউজে সভাপতি শাহনওয়াজ বলেন, সাংবাদিকদের স্থায়ী বন্ধু নেই। যেখানে অন্যায় দেখবে সেখানে সাংবাদিকের কলম চলবে। এতে যার বিরুদ্ধে যাবে তিনি সাংবাদিকদের শত্রু ভাববেন এটাই স্বাভাবিক। সাংবাদিকতা হবে দেশ, জাতি এবং নিপীড়িত জনগণের স্বার্থে।
কিন্তু বিগত দেড়যুগ আমরা দেখেছি, সাংবাদিকতা হয়েছে ক্ষমার স্বার্থে।
সিএমইউজে হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান ও প্রেস ক্লাব নির্বাহী সদস্য মোস্তফা নঈম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা আছে। সেই সমস্যা সমাধান হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। তারা যাচ্ছে যমুনায়। এটা সমাধানের স্থান তো যমুনা নয়। দেশকে অস্থিতিশীল করতে কারা ইন্ধন দিচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে।
প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমি চৌধুরী, সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, জামায়াতের নগর অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ।
এসএম/এসএন