অভিনয় জীবনের শুরু থিয়েটার মঞ্চে হলেও, বলিউডে পা রাখার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো নিজের নামে কোনও একক হিট ছবির তালিকা তৈরি করতে পারেননি অভিনেতা শরমন জোশী। থ্রি ইডিয়টস-এ ‘রাজু রস্তোগি’র চরিত্রে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেও তার ক্যারিয়ারে সেই জোয়ার ধরে রাখতে পারেননি।
গুজরাতি পরিবারে জন্ম শরমনের। নাট্যজগতে ছিল তাঁর পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড। বাবা ও জেঠু দু’জনেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নাগপুরে জন্ম হলেও বড় হয়েছেন মুম্বইয়ে, যেখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন বলিউড প্রযোজক ফারহান আখতার ও রীতেশ সিধওয়ানি।
১৯৯৯ সালে শাবানা আজমির সঙ্গে অভিনয় করে ‘গডমাদার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় শরমনের। এর পর ‘লজ্জা’, ‘স্টাইল’, ‘এক্সকিউজ মি’, ‘শাদি নম্বর ১’-এর মতো ছবিতে কাজ করেন। বিয়েও করেন খ্যাতনামা খলনায়ক প্রেম চোপড়ার কন্যা প্রেরণাকে।
২০০৬ সালে ‘রং দে বসন্তি’ এবং ‘গোলমাল’ তাঁর কেরিয়ারে আনে মোড়। সেই ধারাবাহিকতায় ‘লাইফ ইন আ… মেট্রো’ ও ‘থ্রি ইডিয়টস’ তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। কিন্তু এরপর থেকেই শুরু হয় ছন্দপতন।
‘গোলমাল’ ছবির সিক্যুয়েলে কাজ না পাওয়ার পেছনে পারিশ্রমিক নিয়ে মতানৈক্যের কথা জানান শরমন। এরপর ধীরে ধীরে তাঁকে দেখা যায় কম বাজেটের কিংবা বি গ্রেড ছবিতে—‘হেট স্টোরি ৩’, ‘ওয়াজা তুম হো’, ‘১৯২০ লন্ডন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করলেও সেগুলো বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।
ওয়েব সিরিজ ‘বারিশ’ ও ‘পবন অ্যান্ড পূজা’তেও কাজ করেছেন, কিন্তু সেগুলোর সাফল্য ছিল সীমিত। নিজের এক সাক্ষাৎকারে শরমন বলেন, “আমি এখনও নিজেকে বলিউডের বহিরাগতই মনে করি।”
২০১৪ সালে নিজের প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন শরমন এবং থিয়েটারে মনোনিবেশ করেন। হিন্দি, গুজরাতি ও মরাঠি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। গুজরাতি নাটকে বধির চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন প্রশংসাও।
সর্বশেষ সলমন খান অভিনীত ‘সিকন্দর’ ছবিতে দেখা গেছে শরমনকে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে থাকলেও একক কোনও হিট ছবি এখনও তার ঝুলিতে নেই। বর্তমানে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মুম্বইয়ে বসবাস করছেন এই বলি তারকা।
টিকে/টিএ