চিত্রনায়িকা পরীমনি, এখন আর তিনি আগের মতো জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। কাজ আর সন্তানদের নিয়েই তাঁর বর্তমান জীবন আবর্তিত হচ্ছে।
পরীমনি বলেন, “আমি আসলে এনজয় করা ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু আমার কাজ আর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনটা গুছিয়ে নিতে চাই। কারো কথায় আর বাঁচতে চাই না। আমি আমার মতো করে জীবনটাকে বাঁচতে চাই।”
তিনি আরও জানান, অনেকেই ভাবছেন তাঁর নতুন উদ্যোগ ‘বডি’ হঠাৎ করেই এসেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি প্রায় তিন বছর আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তখন আর্থিকভাবে সেই সামর্থ্য ছিল না, এখনও পুরোপুরি নেই, তবে ধীরে ধীরে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। পরীমনির আশা, এই উদ্যোগ একদিন মা ও শিশুদের জন্য নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, “যখন আপনি নিজে একটা স্বপ্ন দেখেন এবং সেটা বাস্তবে রূপ পায়, তখন যে অনুভূতিটা হয়, সেটা আসলে কাউকে বোঝানো যায় না। শুধু নিজেই অনুভব করা যায়।”
ভক্তদের ভালবাসা ও সহানুভূতির কথা জানিয়ে পরীমনি বলেন, “মানুষ যখন সুন্দরভাবে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়, সেটা আমার জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। অনেক জায়গায় দেখেছি, সামান্য ভুলের জন্য আঙ্গুল তুলে কথা বলা হয়। কিন্তু এখানে মানুষ ভীষণ গঠনমূলক সমালোচনা করে, সেটার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”
নারী ও পুরুষের সমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নারী যে একজন মানুষ, এটা প্রথমে নিজেদের বিশ্বাস করতে হবে। নারী-পুরুষ সৃষ্টিগতভাবে কিছুটা ভিন্ন হলেও, কে কী করতে পারবে সেটা তার দক্ষতার উপর নির্ভর করা উচিত। সবাইকে এক ছাঁচে ফেলা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এখন একটাই জিনিস শিখেছি — এভয়েড করা। আমি এত কষ্ট আর নিতে পারি না। সবকিছু নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালে চলবে না। আমি তো চকলেট বিক্রি করতে আসিনি যে সবাই খুশি হয়ে কিনবে। আমি একজন মানুষ। আমারও রাগ, দুঃখ, কষ্ট, সব কিছুই হয়।”
টিকে/টিএ