ফের মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হতে চান ড. মাহাথির মোহাম্মদ

ফের প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির মোহাম্মদ।

সম্প্রতি পুত্রজায়ায় পারদানা লিডারশিপ ফাউন্ডেশন (পিএলএফ) আয়োজিত একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে তার জীবন ও নেতৃত্ব নিয়ে লেখা ‘এ কনভার্সেশন উইথ তুন ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ: এ লিগেসি অফ লিডারশিপ অ্যান্ড ভিশন’ শীর্ষক বইটি উন্মোচিত হয়।

দেশটির সংবাদমাধ্যম দি রাকায়েত পোস্ট ও মালয়েশিয়া কিনির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাহাথির যদি ফের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে প্রথম কাজ হিসেবে তিনি জাতি, ধর্ম ও রাজতন্ত্র সম্পর্কিত আলোচনা নিষিদ্ধ করার জন্য আরোপিত শাস্তি বাতিল করবেন বলে জানিয়েছেন মাহাথির। 

মালয়েশিয়া কিনি মাহাথির মোহাম্মদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, মানুষ কী ভাবছে, তা জানার অধিকার একজন নেতার থাকা উচিত। তাদের মুখ বন্ধ করে দিলে নেতৃত্ব সফল হয় না। আমাদের দরকার বাকস্বাধীনতা। ব্যবসা করার স্বাধীনতা। দরকার সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতা। কারখানাগুলোকে উন্নত করতে হবে। সবকিছু আরও সহজ করে তুলতে হবে। 

তবে মাহাথিরের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে মনে বলেছেন, মাহাথির নিজেই অতীতে মালয় আধিপত্য এবং বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি আর কতবার দেশ চালাতে চান?

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাহাথির। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। 

২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। অবসর গ্রহণের দীর্ঘ পনের বছর পর ৯২ বছর বয়েসে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাপক দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে মাহাথির মোহাম্মদ আবারো আসেন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালের ৯ মে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পরদিন ১০ মে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

তবে, ২০২০ সালে মাহাথির হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে দেশটিতে কিছু সময়ের জন্য সরকারহীন হয়ে পড়লে ১৯ নভেম্বর ২০২২ সাধারণ নির্বাচনে হেরে যান তিনি। 

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রতিটি হামলার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন জড়িত : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন Jul 12, 2025
img
ফেনীতে বন্যার পানি নামছে, ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতি Jul 12, 2025
পুলিশের সুপারশপ ঘুরে দেখলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন আইজিপি Jul 12, 2025
চট্টগ্রামে ১১ খণ্ডে বিভক্ত লাশ! স্ত্রীর মরদেহ কমোডে ফ্লাশ করলো স্বামী! Jul 12, 2025
"বাবু খেয়েছো? জিগ্যেসের জন্যতো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বানাই নাই!" Jul 12, 2025
img
'ভিডিওতে থাকলেও আমি কাউকে মারিনি' মিডফোর্ডের ঘটনার আসামী টিটন Jul 12, 2025
img
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজনকে ওএসডি Jul 12, 2025
img
ঢাকায় পৌঁছালেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট Jul 12, 2025
img
এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য Jul 12, 2025
img
পিআর পদ্ধতি একটি অপরিকল্পিত প্রস্তাবনা মাত্র: ১২ দলীয় জোট প্রধান Jul 12, 2025
img
রিয়ালের আবেদন নাকচ করল লা লিগা সভাপতি Jul 12, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯১ Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনায় আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে Jul 12, 2025
পুলিশ মেসের ওয়াশরুম ঘুরে দেখলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
পুলিশকে খেলাধুলায় জোর দিতে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
img
লোকেরা আমাকে প্রায় মেরে ফেলেছিল : করণ জোহর Jul 12, 2025
ইউনুস সরকারকে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের সংস্কার প্রস্তাব Jul 12, 2025
img
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা জানালেন উপ-প্রেসসচিব Jul 12, 2025
img
কপিল শর্মার ক্যাফেতে হামলাকারীদের দায় স্বীকার Jul 12, 2025