নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০১৮ সালে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম জাকারিয়ার বাড়িতে হামলার মামলায় আওয়ামী লীগের ২৭ নেতাকর্মীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তারা। তবে বিচারক মোরশেদ ইমতিয়াজ তাদের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সুবর্ণচরের চরবাটায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়ার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ৫ আগস্টের পর মধ্য চরবাটার রাশেদ ইকবাল বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে প্রধান আসামি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। এছাড়া ৮২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, উচ্চ আদালতে জামিন নেওয়া ৩২ আসামি আজ আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্যে ৫ জন আসামি অসুস্থ থাকায় বিশেষ বিবেচনায় তাদের জামিন মঞ্জুর হয়। অন্য ২৭ আসামিকে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হারুনর রশিদ হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, আজ শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ থাকায় চরজব্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামসহ ৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে, তবে বাকি ২৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি ঘটনার অভিযোগে ২০২৫ সালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুরো উপজেলার মানুষদের আসামি করা হয়েছে—বিশেষ করে যারা সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না কিংবা দূর-দূরান্তে অবস্থান করছিলেন, এমন ব্যক্তিদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
নোয়াখালী আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা ও দায়রা জজ মোরশেদ ইমতিয়াজ মামলা পর্যালোচনা করে ২৭ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ৫ জনকে জামিন মঞ্জুর করেন। পরে ২৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরএ/টিএ