সম্প্রতি অনলাইন ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্ল্যাশটকবিডি’ অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট প্রচারের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছে। এ নিয়ে চ্যানেলটির বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—তারা দেশের প্রচলিত আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আলোচনায় এবার যুক্ত হয়েছেন একসময়ের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ও মডেল ইসরাত পায়েলও।
টিভি, স্টেজ শো, কর্পোরেট কিংবা খেলার মাঠ- একসময়ে দাপিয়ে উপস্থাপনা করতেন পায়েল। তবে বর্তমানে উপস্থাপনার কাজ ছেড়ে ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই মডেল বলেন, ‘আমরা যখন উপস্থাপনা করতাম, তখন এটা একটা শিল্প ছিল। তবে এখনকার সময়ে সেটা আর নেই।’
‘এখনকার সময়ে কিছু উপস্থাপকের টার্গেটই থাকে অনুষ্ঠানে এনে অতিথিকে হেয় করা। সেটা করতে পারলেই যেন সে সার্থক। উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করবে, বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবে। এটা কোনো উপস্থাপনা হতে পারে?’
পায়েল আরও বলেন, ‘একজন উপস্থাপকের প্রশ্ন কি এটা হতে পারে, আপনার কয়জন সুগার ড্যাডি আছে? আপনি এত ঘন ঘন বিদেশ কেন যান? আপনার আয়ের উৎস কি? কারো ব্যক্তিগত বিষয় বলেও কিছু আছে। সেসব নিয়ে কি প্রশ্ন করা যেতে পারে?’
এই মডেল বলেন, ‘এই প্রশ্নগুলো যারা করছেন, তারা কিন্তু মিডিয়ার মানুষ। যার কারণে মানুষও ভাবছেন, মিডিয়ার লোক হয়তো দুই নম্বর। মিডিয়ার মানুষ মানেই খারাপ। এই দায়গুলো কিন্তু সেই উপস্থাপকদেরই।’
ইসরাত জানান, মিডিয়ার কিছু মানুষের এমন দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মকাণ্ডের কারণেই শোবিজ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ব্যবসায়ে মনোযোগী হয়েছেন।
আগে উপস্থাপনা শিল্প বলে গণ্য হলেও এখন তা সার্কাসের মতো হয়ে গেছে উল্লেখ করে ইসরাত পায়েল বলেন, মিডিয়াতে আগে আমরা যেভাবে উপস্থাপনার কাজ করতাম এখন সেটা সার্কাস বা যাত্রাপালায় পরিণত করেছে কিছু উপস্থাপক। এরা গেস্ট এনে হেনস্তা করতে পারলে মনে করে কাজ সার্থক! এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভিউ ব্যবসা। কিন্তু এসবের উল্টোটা হচ্ছে। এসব এ কারণে ধীরে ধীরে সরে গিয়ে ব্যবসায় যুক্ত হয়েছি।
আরএ/টিএ