চলতি মাসের শুরুতে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের বাৎসরিক হালনাগাদে টেস্ট দলগুলোর মধ্যে দুই ধাপ উন্নতি করে ইংল্যান্ড। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও গত দুই চক্রের রানার্সআপ ভারতকে টপকে যায় তার।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ইংলিশদের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান কেবল ১৩। সাদা পোশাকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখার অভিযানে থাকা প্যাট কামিন্সের দলের পয়েন্ট ১২৬। আর স্টোকসের দলের পয়েন্ট ১১৩।
১৪ বছর ধরে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠতে পারছে না ইংল্যান্ড। সবশেষ তারা চূড়ায় উঠেছিল ২০১১ সালের অগাস্টে, ঘরের মাঠে ভারতকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে।
টেস্টে আবারও এক নম্বরে ওঠার লক্ষ্য কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও ইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কিকে জানিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে চার দিনের টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্টোকসের কথা বলার সময় ওঠে র্যাঙ্কিংয়ের প্রসঙ্গ। তখনই ওই লক্ষ্যের কথা বলেন তিনি।
“যখন র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হলো, আমি বাজ (ম্যাককালাম) ও কিসিকে (রব কি) পাঠানো একটি বার্তায় লিখেছিলাম, ‘আমাদের আরও এক ধাপ (উপরে) যেতে হবে’।”
“সবাই জানে, দল হিসেবে যখন সবকিছু ভালো যায়, তখন আমাদের থামানো খুবই কঠিন। আমরা জানি, এমন ছন্দ সবসময় থাকে না।”
২০২২ সালে স্টোকসকে টেস্টের নেতৃত্ব দেয় ইংল্যান্ড। ওই সময়ই ম্যাককালামকে সাদা পোশাকের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দুইজনের হাত ধরে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে শুরু হয় ইংলিশদের নতুন অধ্যায়।
স্টোকস ও ম্যাককালামের দায়িত্বের তিন বছরে ৩৬ টেস্ট খেলে ২২টিতে জিতেছে ইংল্যান্ড, হেরেছে ১২টিতে। এই সময়ে ইংলিশদের চেয়ে বেশি টেস্ট জিততে পারেনি আর কোনো দল।
আরএম/এসএন