আইপিএলের চলমান অষ্টাদশ আসরে বাকি আর ১১ ম্যাচ। এর মধ্যে লিগপর্বে ৭ ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়েছে প্লে-অফে ওঠা চার দল এবং বাকি ৬ দলের বিদায়। শেষ দল হিসেবে গতকাল (বুধবার) প্লে-অফে উঠেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। একইসঙ্গে ষষ্ঠ দল হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমানের দিল্লি ক্যাপিটালস এই আসর থেকে বিদায় নিয়েছে। আর এই ম্যাচেই একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ভারতীয় তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।
মুম্বাইয়ের এই গতিতারকা দিল্লির বিপক্ষে ৩.২ ওভার করে মাত্র ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন। ম্যাচে বুমরাহ’র প্রথম শিকার দিল্লির দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ত্রিস্টান স্টাবস। তাকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলে মুম্বাইয়ের জয়ের পথ আরও প্রশস্ত করেন ৩১ বছর বয়সী এই পেসার। বুমরাহ এরপর মাধব তিওয়ারি ও মুস্তাফিজুর রহমানকে ক্লিন বোল্ড করেছেন। ১৮০ রান তাড়ায় ১২১ রানেই দিল্লি অলআউট হয়ে গেলে বোলিং কোটা শেষ করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে ডানহাতি এই পেসার আইপিএলের টানা ৯ আসরেই কমপক্ষে ১৫ উইকেট নিয়েছেন।
এর মাধ্যমে বুমরাহ বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে আইপিএলে সর্বোচ্চ ২৫তম বার তিনটি উইকেট শিকার করলেন। ২০১৩ সালে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটিতে সবমিলিয়ে ১৪২ ম্যাচে তার উইকেট ১৮১টি। বুমরাহ’র পর আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ ম্যাচে ৩টি উইকেট নিয়েছেন যুজভেন্দ্র চাহাল। এখন পর্যন্ত ভারতীয় এই লেগস্পিনার চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন। এ ছাড়া লাসিথ মালিঙ্গা ১৯, হার্শাল প্যাটেল, অমিত মিশ্র, সুনীল নারিন ও রবীন্দ্র জাদেজা সমান ১৭টি বার তিন উইকেট শিকার করেন আইপিএলে।
এর বাইরে আইপিএলে দিল্লির বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও নিজের দখলে নিয়েছেন বুমরাহ। ২৩ ম্যাচে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিপক্ষে ৩০ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া একই দলের সঙ্গে নারিন ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন সমান ২৪ ম্যাচে ২৭টি করে উইকেট শিকার করেন। সবমিলিয়ে চোটের কারণে প্রথম কয়েকটি ম্যাচ মিস করলেও ছন্দে ফিরতে মোটেও সময় লাগেনি বুমরাহ’র। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত মুম্বাইয়ের এই পেসার ৯ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন। একইসঙ্গে মুম্বাইয়ের হয়ে তার ১৮১ উইকেট সর্বকালের সর্বোচ্চ।
তার রেকর্ডের দিনে আগে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। তাদের পক্ষে সূর্যকুমার যাদব ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। বিপরীতে লক্ষ্য তাড়ায় দিল্লির টপঅর্ডাররা ছিলেন পুরোদমে ব্যর্থ। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান এসেছে সামির রিজভীর ব্যাটে। ১০ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে ৫৯ রানে ম্যাচ হারে লোকেশ রাহুল ও ফাফ ডু প্লেসিদের দল। যা তাদের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে। বুমরাহ ছাড়াও মুম্বাইয়ের কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ৩ উইকেট ভাগিয়েছেন।
আরআর/টিএ