বিশ্ব সিনেমায় অ্যাকশন মানেই টম ক্রুজ। আর টম ক্রুজ মানেই ‘মিশন: ইম্পসিবল’। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে যিনি ইথান হান্ট হয়ে বড় পর্দায় অসম্ভব সব মিশন বাস্তব করে চলেছেন, তিনি এবার ফিরছেন সম্ভবত শেষবারের মতো। ২৩ মে স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাসসহ বেশ কিছু মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত ‘মিশন: ইম্পসিবল–ফাইনাল রেকনিং (পার্ট ওয়ান)’।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে যাচ্ছে মিশন: ইম্পসিবল সিরিজের শেষ অধ্যায়ের শুরু। ফাইনাল রেকনিং দুই পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বের গল্প আবর্তিত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) এক ভয়ংকর ঝুঁকি ঘিরে, যা গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণের হুমকি দেয়। সেই বিপরীতে আবারও মাঠে নামে ইথান হান্ট ও তার দল।
টম ক্রুজ বরাবরের মতো এবারও নিজেই করেছেন সব স্টান্ট। ছুটে চলা ট্রেনের ওপর লড়াই, পাহাড় থেকে বাইক লাফ—সব মিলিয়ে সিনেমাটি যেন রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি।
২০২৩ সালের ‘ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’-এর সিক্যুয়েল ফাইনাল রেকনিং। কাহিনি ঘোরে বিশ্বব্যাপী ছড়ানো এআই দুর্যোগের আবর্তে, আর সেই চিরচেনা টম ক্রুজ স্টাইলে একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করার গল্প। এবারের ছবির বাজেট প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিগত কিস্তি ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান ৫৭১ মিলিয়ন ডলার তুললেও প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি। তাই এই কিস্তি ঘিরে উত্তেজনা এবং বক্স অফিসের চাপ দুটোই তুঙ্গে।
এক সাক্ষাৎকারে টম বলেন, ‘যখন আপনার মুখটি ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইলেরও বেশি গতিতে ছোটা কোনো যানের (বিমানের) অভিমুখে থাকে, তখন বুঝবেন সময়টা আপনার জন্য কতটা কঠিন। কারণ, তখন আপনি অক্সিজেন পাচ্ছেন না। তাই এ দৃশ্যটির শুটিংয়ের জন্য আমাকে শ্বাস নেওয়ার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কাজটি করতে গিয়ে মাঝে মাঝে আমি শারীরিকভাবে অজ্ঞান হয়ে যেতাম; আমি ককপিটে ফিরে যেতে পারতাম না।’
ছবিতে টম ক্রুজ ছাড়াও হেইলি অ্যাটওয়েল, ভানেসা করবি, সাইমন পেগসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।
জানা গেছে, আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে টম ক্রুজের এটিই শেষ দেখা হতে পারে। কারণ ৭টি সিনেমার পর মিশন: ইম্পসিবল সিরিজের একটি নাটকীয় সমাপ্তি তুলে ধরার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন টম। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি।
থান্ডারবোল্টস
মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের পঞ্চম ধাপের শেষ চলচ্চিত্র ‘থান্ডারবোল্টস’। গত ২ মে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাওয়া ছবিটি দর্শক সমালোচকদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে এই ছবি, যা গ্রীষ্মকালীন সিনেমা মৌসুমের জন্য একটি শক্তিশালী সূচনা। আন্তর্জাতিকভাবে এটি ৮৬.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, ফলে মোট বিশ্বব্যাপী আয় দাঁড়িয়েছে ১৬২ মিলিয়ন ডলার।
এরিক পিয়ারসন ও জোয়ানা ক্যালোর চিত্রনাট্য থেকে ছবিটি পরিচালনা করেছেন জ্যাক শ্রিয়ার। এতে অভিনয় করেছেন ফ্লোরেন্স পু, সেবাস্তিয়ান স্ট্যান, ওয়াট রাসেল, ওলগা কুরিলেনকো, লুইস পুলম্যান, জেরাল্ডিন বিশ্বনাথন, ক্রিস বাউয়ার, ওয়েন্ডেল পিয়ার্স, ডেভিড হারবার, হান্না জন-কামেন ও জুলিয়া লুই-ড্রেফাস। ছবিতে একদল অ্যান্টিহিরো একটি মারাত্মক ফাঁদে আটকা পড়ে এবং একটি বিপজ্জনক মিশনে একসাথে কাজ করতে বাধ্য হয়। একটি অস্বাভাবিক সুপারহিরো দলের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি, যারা মূলত অ্যান্টিহিরো বা বিতর্কিত অতীতের চরিত্র।
এফপি/টিএ