জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেওয়া ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আর ২১ কর্মদিবস বাকি রয়েছে বলে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে চলতি মাসের ১০ তারিখে এনসিপির আহ্বানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতা জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য আন্দোলন করে আসছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। এ অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ৩১ ডিসেম্বর শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ না করে সরকারকে সময় বেধে দেওয়া হয়। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু তা চূড়ান্ত না হওয়ায় ছাত্ররা আবারও আন্দোলনে নামেন। এই আন্দোলনের মুখে ১০ মে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
আরআর/টিএ