হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে নানা পাটেকারের নাম বেশ গর্বের সঙ্গেই উচ্চারিত হয়। প্রায় পাঁচ দশক ধরে রূপালী পর্দায় নিজের অসামান্য অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে ‘গমন’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর থেকে নানা পাটেকার শুধু নিজের প্রতি নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতেও রেখেছেন কৃতিত্বের ছাপ।
তবে জানেন কি, এক সময় তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন নানা পাটেকার! শিবাজি মহারাজের জীবনকে উপজীব্য করে একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক মেহুল কুমার ও নানা পাটেকর। উদ্দেশ্য ছিল মাত্র ১৮ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ সিনেমার শুটিং শেষ করা। ৩৫টি ক্যামেরা ও ১৮টি আলাদা শুটিং ইউনিট একযোগে কাজ করত এই প্রকল্পে। যদি পরিকল্পনা সফল হতো, তাহলে সেই সিনেমা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিত, আর সেই রেকর্ডে নানা পাটেকরের নামও লেখা থাকত সোনার অক্ষরে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নানা কারণে সেই সিনেমার শুটিং শুরুই করা যায়নি, আর স্বপ্নও অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
তবে এই অসম্পূর্ণ অধ্যায়ও নানা পাটেকারের বর্ণময় ক্যারিয়ারকে ম্লান করতে পারেনি। পারিন্দা, ক্রান্তিবীর আর অগ্নিসাক্ষী- এই তিনটি চলচ্চিত্রের জন্যই তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রীতে ২০১৩ সালে ভূষিত করা হয় তাকে।
নানা পাটেকার পরিচালিত ‘প্রহার’ সিনেমাটি দেশের অন্যতম সেরা মিলিটারি ভিত্তিক সিনেমা হিসেবে ধরা হয়। প্রখর বাস্তবতা আর সেনাবাহিনীর জীবনকে নিখুঁতভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি।
নানা পাটেকারকে সম্প্রতি দেখা গেছে অক্ষয় কুমার অভিনীত বহুল আলোচিত কমেডি ফ্রাঞ্চাইজি ‘হাউজফুল ৫’-এ। যদিও তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘নির্বাসন’ বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায়নি, সমালোচক মহলে সিনেমাটি প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে ‘অর্জুন রাজরা’ নামের একটি নতুন সিনেমার শুটিং করছেন তিনি।
এমকে/এসএন