যুক্তরাষ্ট্রে আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোর একটি আবাসিক এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার সময় বিমানটি আছড়ে পড়ে। বিমান বিধ্বস্তের পর অন্তত ১৫টি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেগুলোর ভেতর থাকা মানুষকে উদ্ধারে এখন চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

অ্যাসিসটেন্ট ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড্যান ইডি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “সব জায়গায় বিমানের তেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো দুর্ঘটনাস্থলের সব বাড়িতে অনুসন্ধান চালানো এবং সেখানে থাকা মানুষকে বের করে আনা।”

তিনি জানিয়েছেন, মারফি ক্যানিয়ন নামে একটি এলাকার কয়েকটি বাড়ির ওপর বিমানটি সরাসরি আছড়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সান দিয়েগো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানটি সেসেনা ৫৫০ মডেলের। যেটিকে সাইটেশন হিসেবেও ডাকা হয়। বিমানটি রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে মন্টোগোমারি এক্সিকিউটিভ বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়।

এই প্রাইভেট বিমানগুলো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হয়। যা ছয় থেকে আটজন যাত্রী বহন করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহণ নিরাপত্তা বোর্ড ও কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এটির ভেতর কতজন ছিলেন সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি নিউইয়র্ক সিটির বাইরের তেতারবো বিমানবন্দর থেকে বুধবার রাতে উড্ডয়ন করে। এরপর এক ঘণ্টার জন্য এটি কানসাসের উইচিতিটায় অবতরণ করে। সেখান থেকে সান দিয়েগোর দিকে রওনা দেয়। এরপরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

দুর্ঘটনার শিকার বিমানটি আলাস্কার একটি বেসরকারি কোম্পানির। এটি ১৯৮৫ সালে তৈরি করা হয়।
সূত্র: সিএনএন

আরএম/এসএন 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
শৈত্যপ্রবাহ না আসা পর্যন্ত নভেম্বরজুড়েই চলবে ‘এই শীত, এই গরম’ Nov 20, 2025
img
দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় Nov 20, 2025
img
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৪ Nov 20, 2025
img
বাবা আমার সঙ্গেই আছে: নিষাদ হুমায়ূন Nov 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসে ডিনারের পর ট্রাম্পকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন রোনালদো Nov 20, 2025
img
মাধুরীর নতুন লুক, গয়না খুলে কয়েদির পোশাকে মাধুরী! Nov 20, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 20, 2025
img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025
img
দিল্লিতে দোভাল ও খলিলুরের বৈঠক; আলোচনার বিষয় কী? Nov 20, 2025
img
লামায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল চালক Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ Nov 20, 2025
img
তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে : বিজয় বর্মা Nov 20, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৫ম Nov 20, 2025
img
মিলিতাওকে ঘিরে দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Nov 20, 2025
img
মামদানির সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের কাতারে মুশফিক Nov 20, 2025
img
চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট Nov 20, 2025
img
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল Nov 20, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ইসির শক্ত ভূমিকা চায় রাজনৈতিক দলগুলো Nov 20, 2025
img
পাঁচটি জরুরি বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি : তারেক রহমান Nov 20, 2025