ভারতের ইন্ডিগোর একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে তীব্র শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাইলট পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি চাইলে, লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) তা প্রত্যাখ্যান করে।
বুধবার (২১ মে), ফ্লাইট নম্বর ৬ই ২১৪২-এ ছিলেন ২২০ জনেরও বেশি যাত্রী, যার মধ্যে ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলও ছিলেন। আকস্মিক ঝড়ের মুখে বিমানটি পড়লে পাইলট শ্রীনগর এটিসিকে জরুরি অবস্থা জানিয়ে বার্তা পাঠান। শেষ পর্যন্ত সকলকে নিরাপদে অবতরণ করানো সম্ভব হয় শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
সূত্র জানায়, অমৃতসরের আকাশপথে থাকা অবস্থায় পাইলট প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেন এবং নিরাপদ রুট হিসেবে পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে চাইলেও লাহোর এটিসি সেই অনুমতিতে রাজি হয়নি। ফলে বিমানটি ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই তার পূর্বনির্ধারিত পথ ধরে এগোতে বাধ্য হয়।
বর্তমান ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর দুই দেশের মধ্যে আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই পাকিস্তান ভারতের কোনো বিমানকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে অনুমতি দিচ্ছে না, একই নিয়ম ভারতও অনুসরণ করছে।
ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “আমাদের ৬ই ২১৪২ ফ্লাইটটি শিলাবৃষ্টির কবলে পড়েছিল, তবে দক্ষ পাইলটের হাত ধরে এবং সকল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে। কোনো যাত্রী আহত হননি।”
উল্লেখ্য, যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মানস ভূঁইয়া এবং মমতা ঠাকুরসহ তৃণমূলের একাধিক সাংসদ। বিমানটি বর্তমানে শ্রীনগরে রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝে এই ঘটনা প্রমাণ করে, জরুরি মুহূর্তে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অনুপস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
এসএম/টিএ