বলিউডে কি আর ফিরতে চান পাক নায়িকা মাহিরা?

পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি শিল্পীরা। ওই ঘটনার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সেই অভিযানের জয়জয়কার হয় দেশ জুড়ে। কিন্তু ওই অভিযানের নিন্দা করেছিলেন বলিউডে কাজ করা পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান। কিন্তু ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নিন্দা করার পরে তাঁর দিকে কটাক্ষ ধেয়ে যায়। এমনকি, বলিউডের ছবির পোস্টার থেকেও বাদ পড়েন তিনি। এই অবস্থায় নিজের দেশের কাছেই এক আর্জি জানালেন মাহিরা। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। 

পাকিস্তানের এক অনুষ্ঠানে মাহিরাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও কি ভবিষ্যতে নিজেকে বলিউডে আর দেখতে চান? উত্তরে মাহিরা বলেন, “আমার মনে হয়, এ বার আমাদের নিজেদের দেশের বিনোদন জগতে মন দেওয়া উচিত। পাকিস্তানের চলচ্চিত্র জগৎকে আরও মজবুত দেখতে চাই।”



ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে মাহিরা বলেন, “আমি বয়কট সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। এটা অনেক বড় ক্ষেত্রের জন্য বলছি। কোনও কিছু নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি কখনওই নই। কিন্তু পরিস্থিতিই এমন যে, আমরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। কারণ, সকলেই নিজের দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”

মাহিরার দাবি, নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে তিনি আর ভাবতে চান না। বরং এ বার নিজের দেশ অর্থাৎ পাকিস্তান যাতে বিনোদন ক্ষেত্রে আরও উন্নত হয়ে ওঠে সেই ইচ্ছা রাখেন। তাঁর কথায়, “আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। নিজেদের উন্নতির জন্য নিজেদের ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করা উচিত। সেটা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে হবে।”



উল্লেখ্য, মাহিরা খান ‘রইস’ ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। দুই অভিনেতার রসায়ন পছন্দ করেছিলেন দর্শক।

টিকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যা জানাল বিএনপি May 24, 2025
img
১১ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস May 24, 2025
img
জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার পদত্যাগ May 24, 2025
img
আর্জেন্টিনার সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি বাফুফের May 24, 2025
img
ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কঠোর বার্তা দিলো ঢাকার মার্কিন দূতাবাস May 24, 2025
img
যমুনায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন May 24, 2025
img
আমাদের সঙ্গে উদযাপন করার জন্য ফারিণ ও নিশো ভাইকে ধন্যবাদ: প্রীতম হাসান May 24, 2025
img
হবিগঞ্জে এনসিপির মতবিনিময় সভা May 24, 2025
img
গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল বৃদ্ধের May 24, 2025
img
'পর্দায় আমার সঙ্গে প্রসেনজিৎ থাকলে সব কিছু ভুলে যাই' May 24, 2025
img
'এখনও স্বামী মারা গেলে সব দোষ পড়ে মেয়েদের ঘাড়ে' May 24, 2025
img
যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেতে রেকর্ড সংখ্যক আমেরিকানের আবেদন May 24, 2025
img
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ব্যাংক কর্মকর্তার May 24, 2025
img
ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে ২৫৬ কোটি টাকার চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ May 24, 2025
img
ভারতে আইফোন তৈরি নিয়ে অ্যাপলকে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের May 24, 2025
img
ভারতে বজ্রপাত ও ঝড়ে ৪৫ জনের প্রাণহানি May 24, 2025
img
কখন কী হয়ে যায়, সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে : আসাদুজ্জামান রিপন May 24, 2025
img
দক্ষিণ সুদানে ফেব্রুয়ারি থেকে সংঘর্ষে অন্তত ৭৫ জন নিহত : জাতিসংঘ May 24, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের May 24, 2025
img
সাবেক ওসি প্রদীপকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি গুজব : কারা অধিদপ্তর May 24, 2025