জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্মদানের প্রবণতা ঠেকাতে আরও কঠোর হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের তথ্য আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। সন্দেহজনক মনে হলে আবেদন সরাসরি বাতিল করে দেবেন কনস্যুলার কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (২৩ মে) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, যদি কর্মকর্তাদের মনে হয় যে কারও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য সেখানে সন্তান জন্ম দিয়ে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা, তবে তার পর্যটন ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। এই ধরনের উদ্দেশ্যকে ‘অননুমোদিত’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে শপথ নেওয়ার দিনই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে সই করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিলের উদ্যোগ। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওই উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে অভিবাসী অধিকার সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU)। পরে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্যেও এই আদেশ আইনি জটিলতায় পড়ে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, কেউ সে দেশে জন্মগ্রহণ করলেই তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। মার্কিন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত এই বিধান বাতিল করতে শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশ যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সাংবিধানিক সংশোধন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতে বিদেশিদের ভিসা প্রাপ্তি আরও কঠিন করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরএম