রোমে ফের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিরা

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটাতে গতকাল শুক্রবার ইতালির রোমে ফের আলোচনায় বসেছেন ওয়াশিংটন ও তেহরানের প্রতিনিধিরা। খবর সিএনএন ও এবিসি নিউজের।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানিয়েছেন, ‘বিরোধপূর্ণ শর্ত’ থাকায় কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দুই পক্ষের জন্যই এই আলোচনার গুরুত্ব অনেক।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করতে না পারে, যা গোটা অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।

অন্যদিকে ইরান চায়, তাদের তেলনির্ভর অর্থনীতির ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের মধ্যে ওমানের মধ্যস্থতায় গতকাল শুক্রবার পঞ্চম দফা আলোচনা হওয়ার কথা।
দুই দেশই কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান চাইলেও আলোচনা বিফলে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

কারণ পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে সমঝোতা নিয়ে তাদের ‘রেড লাইন’ স্পষ্টতই একে অপরের বিপরীতমুখী।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাই, যেখানে ইরান শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারবে, কিন্তু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। এটা সহজ হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আগেই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ দাবি করছে, তা বাড়াবাড়ি এবং অযৌক্তিক।
এই আলোচনায় ফল আসবে না।

তেহরান বলছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কিছু সীমাবদ্ধতা মানতে তারা রাজি, কিন্তু ওয়াশিংটনকে পরিষ্কারভাবে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, ভবিষ্যতে কোনো চুক্তি থেকে তারা আর সরে যাবে না।

এর আগে ২০১৫ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী ছয় জাতির সঙ্গে তেহরানের হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প বেরিয়ে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এরপর থেকেই তেহরান ২০১৫ সালে চুক্তির সীমা ছাড়িয়ে পরমাণু সমৃদ্ধকরণে জোর দেয়।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

টাকা কি অনর্থের মূল | ইসলামিক জ্ঞান May 24, 2025
পুনম পাণ্ডে ও ইমরান হাশমির চুম্বন কাণ্ড: সত্য নাকি সাজানো? May 24, 2025
img
বিএনপি ও জামায়াতের পর এনসিপির সঙ্গেও বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা May 24, 2025
গ্ল্যামার ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে চোখ জাহ্নবীর | May 24, 2025
ক্রিকেট খেলায় পার্সোনাল কোন লক্ষ্য থাকতে পারে না; অধিনায়ক সোহান May 24, 2025
img
বিএনপির প্রতিনিধিদল যমুনার পথে May 24, 2025
অন্তর্বর্তী সরকার পাঁচ বছর থাকবে না কত বছর থাকবে এটা তাদের বিষয়: আখতার May 24, 2025
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ সব একসঙ্গে চায় এনসিপি May 24, 2025
সরকার ৫ বছর থাকুক আমরা চাই না May 24, 2025
img
ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্থগিতের পর পাকিস্তান দ্রুত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে May 24, 2025
‘প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন না, তিনি থাকছেন’ May 24, 2025
চাপে ফেলবে না সহনশীল হবে, ইউনূসকে নিয়ে বিএনপির মতবিরোধ May 24, 2025
img
হজযাত্রীদের জন্য চালু হয়েছে সরকারি অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ May 24, 2025
সিগন্যাল দিলেই সবাই দেশে ঢুকে যাব: ইলিয়াস May 24, 2025
img
‘চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে’ May 24, 2025
img
পরেশ রাওয়ালের সিদ্ধান্তে কাঁদলেন অক্ষয় May 24, 2025
img
মুন্নী সাহা ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ৩৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ May 24, 2025
img
আমাদের ২০ হাজার নাগরিক নিহত হয়েছে : জাতিসংঘে ভারত May 24, 2025
img
দেশজুড়ে পুলিশের অভিযানে ১৭৪৪ জন গ্রেফতার May 24, 2025
img
কিছু মানুষের গাদ্দারির কারণে জুলাইয়ের ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে May 24, 2025