গুলশান-বনানীসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার যেসব বাড়ির পয়ঃবর্জ্য সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের স্টর্ম ড্রেনেজ হয়ে খাল, লেক কিংবা জলাশয়ে যায় সেসব বাড়ির দেয়ালে লাল রং করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, গুলশান, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির উদ্যোগে গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, রাজউকের দেওয়া প্ল্যান অনুসারে প্রত্যেক বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকার কথা। গুলশান-বনানীর যেসব বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক না থাকায় পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের স্টর্ম ড্রেনে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহার পরেই সেসব বাড়ির দেয়ালে লাল রং করে চিহ্নিত করা হবে।
প্রশাসক বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহার পর গুলশান, বনানী এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ সময় তিনি আসন্ন কোরবানির বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য সোসাইটির সহায়তা প্রত্যাশা করে বলেন, ঈদের পরে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে সোসাইটিসমূহকে এসব দায়িত্বে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি ন্যায্য শহর গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে ডিএনসিসির সঙ্গে নতুন সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়ন করে আধুনিক বাসযোগ্য শহরে রূপান্তর করা হবে। বিমানবন্দরের পাশে একটি আরবার রিজার্ভ ফরেস্ট গড়ে তোলা হবে।
সভায় উপস্থিত এলাকাবাসীর এক প্রশ্নের জবাবে হোল্ডিং ট্যাক্স বিষয় ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এখন থেকে নগরবাসী ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ট্যাক্স হিসাব করতে পারবেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির প্রতিনিধরা।
আরআর