জুলাই অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হয়ে পরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ হওয়া হাফেজ মোহাম্মদ হাসান-এর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
শনিবার (২৪ মে) রাতে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় ইমামতি করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। নামাজের সময় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জমান শিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাছুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাওন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম, জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দিক আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে গুরুতর আহত হন হাফেজ মোহাম্মদ হাসান। তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল পাঠানো হয়। শেষে তাকে সেদেশের পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে মো. হাসানের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।
তার মায়ের ইচ্ছানুযায়ী তাকে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে দাফন করা হবে। তার মরদেহ দাফনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন নোয়াখালী সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।