পরিবর্তন জীবনের অঙ্গ। নানা পরিস্থিতিতে নানা বয়সে মানুষ বদলে যায়। এটাই নিয়ম। কিন্তু যখন পরিবর্তনের প্রবল ঢেউ কারও শরীরে-মনে আছড়ে পড়ে? নতুন আমিকে দেখে বিস্মিত সে নিজেই! যেমন আলিয়া ভট্ট। এ বছর তিনি প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসবে পা রাখলেন। পোশাক পরিকল্পকদের তৈরি পোশাকে সেজে সাড়াও ফেলে দিলেন। তার দেখেও তিনি বেশি আপ্লুত নিজের পরিবর্তন দেখে। আলিয়া আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, মাতৃত্ব তাঁকে এতটা বদলে দেবে, তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। “কিছু দিন আগেও এমন ছিলাম না! এ আমার কী হয়ে গেল?”
আলিয়া এখন মনে মনে প্রতিটি ক্ষণ মেয়ে রাহার সঙ্গে যাপন করেন! “হয়তো আমি মেয়ের কাছে নেই। কাজে ব্যস্ত। ওর থেকে অনেকটাই দূরে। তার পরেও রাহাকে সব সময় নিজের মধ্যে অনুভব করতে পারি। এও বুঝতে পারি, আমি আর একা নই। সন্তান আমার সর্ব ক্ষণের সঙ্গী।” শুধু কি তাই? তিনি এখন দুনিয়া দেখেন মেয়ের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এটা থাকলে তাঁর সন্তানের সুবিধা হয়। কিংবা ওটা হলে রাহা আরও ভাল থাকবে— সময় পেলেই ভেবে চলেছেন। মেয়ে এখন তাঁর গা ঘেঁষে বসে গল্পের বইয়ের গল্প শোনে! তিনি পড়ে শোনান একরত্তিকে। গল্প শোনাতে শোনাতে তাঁর মনে হয়, এত ধৈর্য কোথায় ছিল তাঁর?
এ রকম পরিবর্তন আরও আছে। আলিয়া এখন নতুন মায়েদের মনের কথা, ভাবনা, অনুভূতি— বুঝতে পারেন! তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই। এ ভাবেই তিনি প্রতি দিন, প্রতি মুহূর্তে যেন নতুন। নিজের এই উত্তরণের ‘গঙ্গুবাই’ কতটা খুশি? প্রশ্ন ছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চের সাংবাদিকদের। জবাব দেওয়ার আগে গালে টোল ফেলা চেনা হাসি হেসেছেন তারকা অভিনেত্রী। বলেছেন, “উপভোগ করছি। সবটাই ভীষণ ভাল লাগছে। এ ভাবে সব কিছু অন্য রকম হয়ে যাবে, বুঝিনি। যা ঘটছে, যা হচ্ছে— সবেতেই আমি খুশি।”
এসএন