শ্রীলেখা মিত্র কখনই কোনও বিষয়ে নিজের মতামত সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে পিছপা হননি। পশ্চিমবঙ্গের একটি পত্রিকা জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। আর এতেই খেপেছেন অভিনেত্রী। তিনি এ বিষয়ে ভারতের সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন।
সংবাদপত্রটি লিখেছে ৩০ বছরের যুবকদের খেয়েছেন শ্রীলেখা। এবং শ্রীলেখার বক্তব্য প্রকাশ করেছে, অথচ শ্রীলেখা তেমন কোনো কথাই বলেননি।
অভিনেত্রী অভিযোগ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ভাইয়েরা, বোনেরা খাওয়ার তো বহু কিছু আছে। আমি বেছে বেছে ৩০ বছরের যুবকদের খেতে যাবো কেন? তাছাড়া আমি তো প্রায়ই ভেজিটেরিয়ান।
সব রকমের মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, খেতে শুরু করলে সর্বপ্রথম আপনাদের জানাবো। আর হ্যাঁ, আপনাদের নামে সাইবার সেলে জানিয়ে দিয়েছি। দেখুন আপনাদের মাথা খেলাম বলে বলবেন না যেন।
সাম্প্রতিককালে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীলেখা মিত্র। একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন তাঁর ওজন বাড়ার নেপথ্যে আছে অবসাদ। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। অভিনেত্রীর কথায়, 'দীর্ঘ সময় কাজ না থাকলে নিজেকে মেনটেন করার তাগিদটা নষ্ট হয়ে যায়। দিনের পর দিন যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি, বড় থেকে বেরোয়নি আমি তখন রাতে ঘুম আসত না।
তখন অনলাইনে খাবার আনাতাম, মিষ্টি খেতাম। এভাবেই একদিন দেখলাম জিন্সটা আর ফিট করছে না। আগে শরীর চর্চা, ডায়েট মানতাম। এখন আর সেই ড্রাইভটা পাই না।'
শ্রীলেখা মিত্র এদিন আরও জানান, 'অবসাদের জন্য আমি ওষুধ খাই। বাড়ির কোনও কাজ করতে হয় না। অবসাদ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলাম। টলিউডের তারকাদের নিয়ে নানা কথা বলেছিলাম। কিন্তু কেন বলেছিলাম কেউ বোঝেননি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুটা আমায় ভীষণ নাড়া দিয়েছিল। আমায় লোক পার্টিতে, প্রিমিয়ারে ডাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমার কথার ভুল মানে করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য আমায় ভাতে মারা হয়েছিল কার্যত। কিন্তু এ সবের জন্য আমি পরোয়া করি না।'
এসএন