শরীর সুস্থ রাখতে সবার প্রয়োজন একটি পরিপূর্ণ ঘুম। কারণ ঘুম সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ, তেমনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও ডেকে আনতে পারে নানা রোগ। এদের মধ্যে রয়েছে ডায়েবেটিস, বন্ধ্যাত্বসহ আরো অনেক রোগ।
সেরোটোনিন নামের হরমোনের সাহায্যে ঘুম নিয়ন্ত্রিত হয়। অতিরিক্ত ঘুম এই হরমোনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া নিউরোট্রান্সমিটারকেও বাধা দেয় এই হরমোন। সে জন্য অনেকেই সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথা ব্যথার অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা ও তীব্র তৃষ্ণা বোধ হয়, যার কারণে মাথা ব্যথা শুরু হয়।
অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। স্লিপিং সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে উৎকণ্ঠা ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি।
অত্যধিক ঘুমে দেহঘড়ির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে পেশি ও স্নায়ু শক্ত হয়ে যায়। ফলে শারীরিক চাপ নিতে সমস্যা হয়।
অতিরিক্ত ঘুম ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের ওপরও প্রভাব ফেলে। বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তি থাকে, যার কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুড বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে।
এসব কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে ডায়েবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বেশি ঘুমানোর খারাপ প্রভাব নারীদের ফার্টিলিটির ওপরও পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন থেরাপিতে থাকা নারীরা যারা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৬ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান তারা তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ এবং যারা ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে ৪৩ শতাংশ।
এসএম