কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের সেই আলোচিত মানবপাচারকারী স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল আলী (৫২) শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন।
টেকনাফ থানা পুলিশ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আবদুল আলীকে গ্রেফতারের বিষয়টি রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
থানার ওসি জানান, টেকনাফ থানায় দায়ের করা মানবপাচারের মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি আবদুল আলী (৫২) বাহারছড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জুম্মা পাড়ার বাসিন্দা (নোয়াখালী পাড়া) মৃত নওশেদ আলীর ছেলে।
তার বিরুদ্ধে কেবল টেকনাফ থানায় ৯টি মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশির ভাগই হচ্ছে মানবপাচার ও অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত। অন্যান্য মামলার মধ্যে রয়েছে ইয়াবা পাচারের।
সাগরে মাছ ধরা নৌকায় জেলে হিসেবে কাজ করতে গিয়েই তিনি জড়িয়ে পড়েন মানবপাচারে। টেকনাফ সীমান্তের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হিসেবে তিনি অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে মানবপাচার ও অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়ের কাজ চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তার নিজ গ্রাম জুম্মা পাড়ায় পাহাড়ের পাদদেশে আবদুল আলীর রয়েছে বিরাট আস্তানা। সেখানে কয়েকটি গুদাম ঘর রয়েছে যেখানে দেশের নানা প্রান্তের লোকজনকে কৌশলে এনে আটকে রাখা হয়।
এসব গুদামঘরগুলোকে ব্যবহার করা হয় বন্দিশালা হিসেবে। আটক লোকজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হতো মুক্তিপণ। এসব বন্দিশালা থেকে পুলিশ কয়েক দফায় আটক লোকজনকেও উদ্ধার করেছে।
টেকনাফ থানার ওসি জানান, গ্রেফতার হওয়া আবদুল আলীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে আদালতে।
আরআর/টিএ