আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই নিজেকে আলাদাভাবে চেনান মোহাম্মদ আমির। সময়ের সেরাদের সঙ্গেও তার তুলনা হতো তখন। তবে অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি। তবে ক্যারিয়ার প্রত্যাশামতো না হওয়ায় নিজের এসব কর্ম কাণ্ডের পাশাপাশি পাকিস্তানের সাবেক এক ক্রিকেটারেরও দায় দেখছেন আমির।
সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘নব্বইয়ের দশকের একজন সাবেক ক্রিকেটার আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। পাকিস্তান দল কোভিডের সময় নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল। সফরের জন্য ৪০ জন খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছিল। অথচ সেখানে আমার নাম ছিল না।’
আমিরের এই ইঙ্গিত মূলত ওয়াকার ইউনূসের দিকেই। তার মতে, সাবেক এই পেসার কোচ হয়ে যখন দলে আসেন তখন থেকেই আমিরের প্রতি বাজে আচরণ করেছেন। এমনকি কৌশলে তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন।
ওয়াকার দুই মেয়াদে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বপালন করেছেন। প্রথমবার ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে। তখনই স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে শাস্তি পান আমির। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালে যখন আবার জাতীয় দলে ফেরেন আমির, তখনও পাকিস্তানের কোচ ছিলেন ওয়াকার। তবে সেই বছরই কোচের পদ ছেড়ে পিসিবির অন্য দায়িত্বে যান তিনি। ২০২৪ পর্যন্ত বোর্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। আমিরের অভিযোগ, এই সময়ে তাকে দলের বাইরে রাখার চেষ্টা করেছেন ওয়াকার।
আমির বলেন, ‘একবার তো পিএসএল শুরুর আগেই জাতীয় দল ঘোষণা করা হলো যেন আমি ও শোয়েব মালিক সেই টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে নিতে না হয়।’
‘আমাকে পাকিস্তান দলে না দেখে সবাই তাকে (ওয়াকার) জিজ্ঞাসা করেছিল, “আমির ভালো খেললেও কেন তাকে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে রাখা হলো না?’” এমন প্রশ্নে ওয়াকারের উত্তর ছিল অস্পষ্ট, ‘আমরা ওকে পরিকল্পনায় রেখেছি। কিন্তু এখন ওকে একটু চাপে রাখতে হবে। পরে দেখা যাবে।’-যোগ করেন তিনি।
এমআর/টিএ