১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচেই প্রথম দেশের মাটিতে খেলতে নামবেন হামজা চৌধুরী, সমিত সোম ও ফাহমিদুল ইসলামরা। ফলে দেশের ফুটবল সমর্থকদের মাঝে এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে।
গত শনিবার (২৪ মে) অনলাইনে এই ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হলেও টিকিট সংগ্রহ করতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন আগ্রহীরা। বাফুফের টিকিটিং পার্টনার টিকিফাইয়ের সার্ভার সাইবার আক্রমণের শিকার হলে টিকিট বিক্রয় স্থগিত করা হয়েছে।
ম্যাচের দিন ঘনিয়ে আসলেও গত দুই দিনেও সচল হয়নি বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট টিকিফাই। গত পরশু রাত ৮টায় টিকিফাই টিকিট বিক্রি শুরু করার ঘণ্টা তিনেক পরেই সাইবার আক্রমণ শুরু হয়। তখন থেকেই টিকিট বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ।
বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল আজ সকালে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুল-মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরুর ব্যাপারে কথা বলেছেন। তিনি জানান, আজ রাত ১০টা থেকেই টিকিট বিক্রি পুনরায় শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘বাফুফে সব সময় ইনোভেটিভ কাজ করে থাকে। প্রথমবার ভুল-ত্রুটি হতে পারে। এটা স্বীকার করে নিয়েছি। দু’টি একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এজন্য সাইবার ডাউন ছিল। টিকিট সংগ্রহ পর্যায় থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ পর্যন্ত আমরা নজরদারি রাখব। ১০ জুন ম্যাচ এখনো অনেক সময় আছে। আমরা একটু সময় নিয়ে পুনরায় শুরু করছি। আশাবাদী আজ আবার রাত দশটা থেকে সাইট ও প্ল্যাটফর্ম অন হবে সীমিত পরিসর হলেও।’
জাতীয় স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ১৮,৩০০। ক্লাব হাউজ আর ভিআইপি আসন মিলিয়ে আরও হাজার চারেক আসন বাড়লেও দর্শক-সমর্থক চাহিদার তুলনায় তা সামান্যই। ফলে এই ম্যাচ সামনে রেখে মাঠের বাইরেও খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করবে বাফুফে।
এ ব্যাপারে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘স্টেডিয়াম গ্যালারী ১৮ হাজার এর বাইরে হাজার দু’য়েক। দুভার্গ্যজনক হলেও বাস্তবতা অনেক সমর্থকই সীমিত আসনের জন্য স্টেডিয়াম বাইরে থাকতে হবে। তাদের জন্য আমরা বাইরে ব্যবস্থা করব। বাফুফের পক্ষ থেকে আটটি বিভাগীয় শহরে ফ্যান জোন করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও করছে।’
হামজা চৌধুরীর আগমনে দেশের ফুটবলে নতুন করে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। সমিত-ফাহমিদুলের মতো খেলোয়াড়রা এলে এই উন্মাদনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই উন্মাদনাকে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার ফল মনে করেন তাবিথ, ‘বাফুফে ফুটবল নিয়ে ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় পুরুষ দলের পাশাপাশি নারী , কোচিং, রেফারি , ট্যাকিনক্যাল সব বিভাগেই আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন জায়গা পাবে মূল পর্বে। বাংলাদেশের গ্রুপে বাকি দলগুলো হলো–ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং। প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষে এই গ্রুপের প্রতিটি দলের পয়েন্ট সমান (১ পয়েন্ট) ও গোল ব্যবধান শূন্য। ফলে ১০জুনের ম্যাচটিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাফুফে সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী এখনো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। আমাদের গ্রুপটি বেশ টাফেস্ট। প্রতি দলেরই এক পয়েন্ট ও গোলও শূন্য। সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর টেবিলের অবস্থান নিশ্চয়ই বদলাবে। আমি সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী।’
আরআর/এসএন