ওপার বাংলার জনপ্রিয় তারকাজুটি শোভন গাঙ্গুলি ও সোহিনী সরকারের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হতে আর মাত্র মাসখানেক বাকি। এই সময়টায় একে অপরকে আরও গভীরভাবে জানতে পেরেছেন তারা। তাদের সম্পর্কের সবচেয়ে শক্তিশালী সংযোগের জায়গা ছিল গান, সুর আর কবিতা। শোভনের ভাষ্য অনুযায়ী, সোহিনীর কিছু পরামর্শ তিনি নিজের সংগীতজগতে ইতোমধ্যেই কাজে লাগিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে শোভন বলেন, ‘আমাদের প্রেমটাই শুরু হয়েছিল বাইশে শ্রাবণের হাত ধরে। কবিতা-গান আমাদের জীবন জুড়ে রয়েছে। বিয়ে, সংসার এই সবের বাইরে সৃজনশীল দিক থেকে আমাদের মিল রয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ এক— তা বলা যায় না। তবে সৃজনশীল দিক থেকে আমরা খুব কাছাকাছি। আমি কোনো ভাবনা-চিন্তাকে বাস্তব রূপ দিতে চাইলে সোহিনী সেটা বুঝতে পারে। এর থেকে বেশি কী আর চাই! তাই একসঙ্গে কাজ উপভোগ করি আমরা।’
শোভনের কথায়, ‘সোহিনীর সঙ্গে বিয়ের পরে গান নিয়ে ভাবনাচিন্তার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। অন্য ভাবে ভাবতে সাহায্য করেছে আমাকে। সৃজনশীল দিক থেকে দু’টি মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারেন, গানবাজনা করতে পারেন, তার চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই।’
তবে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মতান্তরও হয় তারকা-দম্পতির। শোভন জানান, এভাবে সৃজনশীল বিষয় নিয়ে মতান্তর হলে তা উপভোগ করেন তিনি। তার কথায়, ‘মতান্তর হলে তবেই তো এক জায়গায় পৌঁছানো যায়। মতান্তর পার করে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারলে, সেটা খুবই উপভোগ্য। আমাদের দু’জনের বড় হওয়া, যাপন ভিন্ন। সেই দুইয়ে যখন মিলে একটা নতুন কিছু তৈরি হয়, সেটাই একসঙ্গে থাকার সার্থকতা।’
শেষে বলেন, ‘আমি তো সোহিনীর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু ও কী শিখেছে, তা জানি না। নিজের কাজের জায়গায় সোহিনী অনেক বেশি পূর্ণ, অনেক বেশি বাস্তববাদী এবং গোছানো। আমি একদমই গোছানো নই। এগুলো তো প্রতিনিয়ত ওর থেকে শিখি। আমাকে সব সময়ে সমৃদ্ধ করে রাখে ও। তাই আমার থেকে ও কী শিখছে, তা নিয়ে ভাবার সুযোগ পাই না।’
আরএ/টিএ