মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়েরকৃত মামলায় আগাম জামিন পেলেন টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন। সোমবার (২৬ মে) শুনানি শেষে প্রিন্স মামুনকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রিন্স মামুনের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান।
গত ১০ মে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন লায়লা আক্তার ফারহাদ। সেই মামলায় এদিন জামিন পেলেন টিকটকার প্রিন্স মামুন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কথাও চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে মামুন বারিধারা ডিওএইচএসে লায়লার বাসায় থাকতে শুরু করেন। তখন থেকে মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় ফিরতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। মাঝে-মধ্যে লায়লাকে মারধরও করতেন।
২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। সে সময় মামুনসহ আরও দু‘জন মদ পানের জন্য মিরপুর যেতে চান। লায়লা তাকে নিষেধ করার পাশাপাশি বাধা দিলে উত্তেজিত হয়ে মামুন তাকে গালি দেন। এরপর গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন মারধর করে ‘হত্যার চেষ্টা’ চালান বলে মামলায় অভিযোগ করেন লায়লা।
তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। সে বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। সে সময় পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ৪ জুন মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলার বিচার চলার মধ্যেই ২০২৪ সালের ৯ জুন মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন লায়লা। পরদিন ১০ জুন কুমিল্লা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ১ জুলাই জামিনে কারামুক্ত হন তিনি।
এজাহারে লায়লা অভিযোগ করেন, বিয়ের কথা বলে তাকে ধর্ষণ করেন মামুন। একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললেও নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করেন।
এফপি/টিএ