আজ ২৭ মে (মঙ্গলবার) থেকে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’ শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবটি একযোগে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ৩১ মে পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এবার সারা দেশ থেকে ৩০০টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে।
প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয় ৮৯টি চলচ্চিত্র। যার মধ্যে ৬০টি ফিকশন ও ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র। আজ উৎসবের উদ্বোধন করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনম বিশ্বাস। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে উদ্বোধনী আয়োজনে প্রদর্শিত হবে মহিউদ্দিন আল আরাবীর ‘সূর্যমুখী’, সাইয়াদুস সালেহীন জাইমের ‘কালাপাথর’, সুপিন বর্মনের ‘আ লেটার অব পোস্টমাস্টার’, নূরে আলম নির্ভীকের ‘নদীর কোনো দেশ নাই’, সিজান আজমিরের ‘এম আদার’, মুহাম্মদ জুনায়েদ হাসানের ‘ধন্যবাদ মা’ ও রাশেদ মানিকের ‘প্রাণবিক’। ৩১ মে সমাপনী আয়োজনে থাকছে মিজানুর রহমানের ‘চোরাপথের শেষে’, মল্লিকা রায়ের ‘প্রদোষে’, মো. জনি হোসাইনের ‘নিড়া’ চলচ্চিত্র।
জানা গেছে, সারা দেশ থেকে সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ৩০০টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে রয়েছে ২০৯টি ফিকশন এবং ৯১টি ডকুমেন্টারি।
পরবর্তীতে সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়। যার মধ্যে ৬০টি ফিকশন এবং ২৯টি প্রামাণ্য চিত্র। প্রদর্শিতব্য চলচ্চিত্র থেকে জুরি কমিটি পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে উভয় ক্যাটাগরি থেকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি নির্ধারণ করবেন। এছাড়া উভয় ক্যাটাগরি থেকে সার্বিকভাবে ৪টি বিশেষ পুরস্কার নির্ধারিত হবে। এগুলো হলো শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা।
এর আগে, ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২১ সালে তিনবার এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছিল। চলচ্চিত্র শিল্পের প্রসার, বিকাশ এবং মানসম্মত দেশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রক্ষেপণ, অনুধাবন করাসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করাই এই উৎসবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এসএম/এসএন