১৯ বছর পর কুয়েত ভিসা পাচ্ছেন পাকিস্তানিরা

১৯ বছর পর, কুয়েত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করেছে। এক বিদেশি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে চলা বিভিন্ন ধরণের ভিসার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ।

‘কুয়েত ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার’-এর পর নতুন নির্দেশনার অধীনে, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য কুয়েত এখন বিভিন্ন ধরণের ভিসা দেবে, যার মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান (ওয়ার্ক), পারিবারিক, সফর, পর্যটন ও বাণিজ্যিক ভিসা।

এই পদক্ষেপের ফলে কুয়েতে চাকরি, ব্যবসা ও পর্যটনের জন্য আগ্রহী হাজারো পাকিস্তানির জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে।

বিশেষভাবে, কুয়েতের স্বাস্থ্য খাতে কাজ করার জন্য প্রায় ১,২০০ পাকিস্তানি নার্স নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং প্রথম দল শিগগিরই দেশটি ত্যাগ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কুয়েতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে কর্মসংস্থান, বাণিজ্য ও পর্যটনে বিপুল সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি জানান, এখন থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের কুয়েতি ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না; বরং আবেদনকারীরা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজেই ভিসা পেতে পারবেন।

তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর কুয়েতে বাড়তে থাকা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাকিস্তানের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা রেমিটেন্স আকারে দেশে আসবে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে কুয়েত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান, ইরান, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করেছিল।

এরপর থেকে কুয়েত সরকার ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়মিতভাবে আলোচনার মাধ্যমে এসব উদ্বেগ দূর করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এদিকে ইউরোপিয়ান কমিশনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, কিছু দেশের শেনজেন ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি, যা আবেদনকারীদের জন্য ভিসা পাওয়াকে কঠিন করে তোলে।

২০২৪ সালে শেনজেন দেশগুলোর কাছে ১ কোটি ১৭ লাখের বেশি ভিসা আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১৪.৮ শতাংশ আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

শেনজেন ভিসার সম্ভাবনা বাড়াতে হলে উচ্চ প্রত্যাখ্যান হার রয়েছে এমন দেশগুলোতে আবেদন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরএম/এসএন 



Share this news on:

সর্বশেষ

img
অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে:মেয়র Jun 02, 2025
জুহিকে ভুলতেই চুপ ছিলেন আমির Jun 02, 2025
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐক্যমত কমিশনের বৈঠক শেষে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা Jun 02, 2025
বাড়তি ভাড়া ও টিকিট সিন্ডিকেট! হাতেনাতে ধরলো র‍্যাব! Jun 02, 2025
img
চেহারা আর খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আমায় খোঁটা দিতেন অনিল: শাশ্বত Jun 02, 2025
img
আমার বাবার অনেক টাকা, ছেলে বেকার হলেও সমস্যা নেই Jun 02, 2025
img
আগামীকাল যেসব এলাকায় ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না Jun 02, 2025
img
এক লিচুর দাম ১৮ টাকা, বাজারে হইচই! Jun 02, 2025
img
পরমব্রত-পিয়ার কোলে পুত্রসন্তান, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন বার্তা Jun 02, 2025
আ. লীগ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে: অর্থ উপদেষ্টা Jun 02, 2025
যে কাজ করলে মানুষ পশু হয়ে যায় | ইসলামিক জ্ঞান Jun 02, 2025
মঙ্গলবার জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি, নেপথ্যে যে কারণ Jun 02, 2025
অর্থ উপদেষ্টার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Jun 02, 2025
img
নোবেলসহ করমুক্ত পুরস্কারের তালিকা প্রকাশ Jun 02, 2025
img
বদলি হলো ৩০ জেলা ও দায়রা জজ Jun 02, 2025
img
জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা Jun 02, 2025
img
মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন তহবিল ৭২৮ কোটি টাকা Jun 02, 2025
img
দুর্যোগে সাদাপাথর ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা Jun 02, 2025
img
টি-টোয়েন্টিতে ১১ বছর পর বল হাতে বাজিমাত করলেন অ্যান্ডারসন Jun 02, 2025
img
৪০ ঘণ্টা পর প্রদীপের মরদেহ ফেরত দিল ভারত Jun 02, 2025